মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী দু'বছরের মধ্যেই হেরিটেজ টয় ট্রেন (Toy Train) চলবে ইলেকট্রিক এবং হাইড্রোজেনে। স্টিম, ডিজেল ইঞ্জিনের পর এবার ইলেকট্রিক ও হাইড্রোজেন ইঞ্জিনে টয় ট্রেন চালানোর প্রস্তাব বাস্তবায়িত করতে সার্ভের কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার এনজেপিতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম এস কে চৌধুরী একথা জানান। তিনি বলেন, টয় ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে টয় ট্রেন নতুন করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তার জন্যই গত আর্থিক বছরে টয় ট্রেনে সর্বাধিক যাত্রী হয়েছে। মোট দেড় লক্ষেরও বেশি যাত্রী হয়েছে এই সময় কালে। এটিই এখনও পর্যন্ত টয় ট্রেনে এক বছরে সর্বোচ্চ যাত্রী। এর আগে এক বছরে সর্বোচ্চ যাত্রী ছিল ১ লক্ষ ১৮ হাজার।
টয় ট্রেনের (Toy Train) টানেই পর্যটকদের ঢল
করোনা সংক্রমণ কালের পর দার্জিলিংয়ে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পর্যটনের প্রসারে দার্জিলিংয়ে পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফে যথেষ্টই খামতি রয়েছে বলে অভিযোগ পর্যটন ব্যবসায়ীদের। দার্জিলিংয়ে পানীয় জলের সঙ্কট এখনও রয়েছে। রাস্তাও নোংরা। এর পাশাপাশি নতুন করে কোনও পর্যটন কেন্দ্র দার্জিলিং ও লাগোয়া এলাকায় তৈরি হয়নি। তা সত্ত্বেও দার্জিলিংয়ে এখন সারা বছরই পর্যটকের ঢল নামছে। এর অন্যতম কারণ দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে টয় ট্রেনের (Toy Train) জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি। দার্জিলিং থেকে ঘুম পর্যন্ত হেরিটেজ টয় ট্রেনের একাধিক জয়রাইড সারা বছর চলছে। পর্যটকদের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে জয় রাইডের সংখ্যাও বেড়েছে। গত আর্থিক বছরের ১৯ কোটি ২১ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। অতীতে করোনা সংক্রমণ কালের আগে ২০১৮-'১৯ আর্থিক বর্ষে সর্বোচ্চ আয় ছিল ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা।
টয় ট্রেনকে (Toy Train) নিয়ে নানা রকম পরিকল্পনা
ডিআরএম এস কে চৌধুরী বলেন, লাভজনক হয়ে ওঠা অর্থাৎ পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তা বেড়ে চলার জন্য আমরা টয় ট্রেনকে (Toy Train) নিয়ে নানা রকম পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। আমরা শীতকালে ঘুম উৎসব করছি। গত দুই বছর ধরে এই উৎসবের মধ্য দিয়ে আমরা টয় ট্রেনকে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছে ব্যাপকভাবে মেলে ধরতে পেরেছি। টয় ট্রেন এখন দার্জিলিংয়ে পর্যটন শিল্পের মেরুদণ্ড।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours