Helina: নজরে চিনা ট্যাঙ্ক, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ‘হেলিনা’ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করছে ভারত

হেলিকপ্টার থেকে নিক্ষেপযোগ্য এই ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১০ কিলোমিটার...
Untitled_design(11)
Untitled_design(11)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে চিন এবং অপরদিকে পাকিস্তান। এই দুই প্রতিবেশীর আগ্রাসন রুখতে এবার শক্তিশালী করা হচ্ছে ভারতীয় সেনাকে। যুদ্ধ সরঞ্জামে ভারতীয় সেনাকে সাজানোর তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

কী কী যুদ্ধ সরঞ্জাম তৈরির কাজ চলছে

এবার তবে রাশিয়া বা ফ্রান্স থেকে কেনা হচ্ছে না যুদ্ধ সরঞ্জাম। দেশেই তৈরি করা হচ্ছে ক্ষেপনাস্ত্র।  যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনার ব্যাপারে অনুমোদন লাগে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের (DAC), যার সভাপতি রয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। চলতি মাসের ১০ তারিখে কাউন্সিলের একটি সভায় ৪২৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে যুদ্ধ সরঞ্জাম তৈরির জন্য। এর মধ্যে দুটি ভারতীয় সেনার স্থলবাহিনীর জন্য এবং একটি নৌবাহিনীর জন্য বরাদ্দ হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের পক্ষ থেকে যে সমস্ত যুদ্ধ সরঞ্জামগুলির কথা বলা হয়েছে সেগুলি হল হেলিনা (HELINA)। এটি এক ধরনের সেনাবাহিনীর বিশেষ হেলিকপ্টার থেকে নিক্ষেপযোগ্য ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী মিসাইল, যা নাগ ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ধরন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা যাচ্ছে, হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) নির্মিত ভারতীয় সেনার অ্যাটাক হেলিকপ্টার রুদ্র-তে এই হেলিনা ক্ষেপণাস্ত্র লাগানো হবে। প্রসঙ্গত, এই রুদ্র হল হ্যাল নির্মিত অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার ধ্রুব-মার্ক থ্রি হেলিকপ্টারের সশস্ত্র সংস্করণ। পাশাপাশি, ভিশোরাড (VSHORAD) মিসাইল সিস্টেম কেনার বিষয়ে সেনার অ্যাকসেপ্টেন্স অফ নেসেসিটি (এওএন) প্রস্তাবেও সায় দিয়েছে ডিএসি। এটি তৈরি করেছে দেশীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। এটি একটি অতি স্বল্প পাল্লার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম Very Short Range Air Defence System বা সংক্ষেপে ভিশোরাড। (VSHORADS)। এটি ৯০ মিলিমিটার ব্যাসের একটি ক্ষেপণাস্ত্র।

অন্যদিকে নৌবাহিনীর জন্য কেনা হচ্ছে ব্রহ্মোস লঞ্চার এবং তার সঙ্গে ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম। এগুলো শিবালিক শ্রেণির ফ্রিগেট এবং পরবর্তী প্রজন্মের মিসাইল ভেসেল (NGMV) যুদ্ধজাহাজে মোতায়েন করা হবে। বর্তমানে শিবালিক শ্রেণির ফ্রিগেটে রুশ-নির্মিত ক্লাব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। সেগুলোকে পাল্টে দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে।

কোথায় মোতায়েন করা হবে এই ক্ষেপনাস্ত্র

জানা যাচ্ছে যে চিনের সেনার আগ্রাসন রুখতে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে (LAC) বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় এই অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (ATGM) হেলিনা মোতায়েন হবে। আরও জানা যাচ্ছে প্রতিটি LCH রুদ্র সর্বোচ্চ ৮টি হেলিনা মিসাইল বহন করতে পারবে এবং ১০ কিলোমিটার দূরে শত্রুর ট্যাঙ্কে আঘাত করতে পারবে। চিন সীমান্তের মধ্যে লাদাখ এবং তিব্বতের পার্বত্য অঞ্চলগুলিতে এটি মোতায়েন করা হবে ‌। চিন এখন ব্যবহার ZTQ-15 ট্যাঙ্ক। এমন হালকা ট্যাঙ্ককে গুঁড়িয়ে দিতে হেলিনার (HELINA) বেশি সময় লাগবে না বলেই বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles