মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতভর বৃষ্টির (Heavy Rain in Bengal) পর বুধবার সকালেও আকাশের মুখ ভার। উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে অতি গভীর নিম্নচাপ। যার জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে আজও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গতকালের বৃষ্টিতে কলকাতার বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন। গতকাল রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে গড়িয়ায় (৯১ মিলিমিটার)। সারারাত বৃষ্টির পর শিয়ালদা ও বিধাননগর স্টেশনের মাঝে কাঁকুড়গাছি রেল কেবিনের কাছে মেন লাইনের পাশে রেললাইনে ধস নামে। জানা গিয়েছে, রাতভর প্রবল বৃষ্টিতে ধসে যায় লাইনের ধারের মাটি। এর জেরে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয় মেন লাইনে শিয়ালদা-নৈহাটি শাখায়। কয়েকটি লোকাল ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে। বেশ কিছু ট্রেন অন্য লাইন দিয়ে চালানো হচ্ছে।
কোন জেলায় আবহাওয়া কীরকম
গভীর নিম্নচাপের জেরে বুধবার দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (Heavy Rain in Bengal) হবে। এই দুই জেলায় জারি কমলা সতর্কতা। পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি সব জেলাতেই বজ্রপাত সহ মাঝারি বৃষ্টি জারি থাকবে। এই সব জেলায় জারি হলুদ সতর্কতা। বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে । বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি কমবে দক্ষিণবঙ্গে, জানাল আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, গভীর নিম্নচাপ অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, উত্তর বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ অতি গভীর নিম্নচাপ ক্রমশ পশ্চিম দিকে সরে যাচ্ছে। কিছুটা দুর্বল হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাংশ এবং ঝাড়খণ্ডের উপর অবস্থান করছে। বুধবারও উপকূল সংলগ্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে বইবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে হালকা বাতাস বইবে।
আরও পড়ুুন: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু
শহরের নানা প্রান্তে বৃষ্টির পরিমাণ
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আজ এবং আগামী দু'দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি (Heavy Rain in Bengal) হবে। এর ফলে তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে। তারপর আবার পারদ ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে। এর জেরে অস্বস্তি অনুভূত হবে। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। বেহালায় ৯০.৮ মিলিমিটার, বালিগঞ্জে ৮৭ মিলিমিটার, জোকায় ৭৬ মিলিমিটার, মোমিনপুরে ৭১ মিলিমিটার, তপসিয়ায় ৬০মিলিমিটার, মার্কুইস স্কোয়ারে ৫৯ মিলিমিটার, ঠনঠনিয়ায় ৪৬.৬ মিলিমিটার, ধাপায় ৪৬ মিলিমিটার, মানিকতলায় ৪৩ মিলিমিটার, দত্তবাগানে ৪১.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির জেরে রয়েছে জল জমার সমস্যাও ( Water Logging Problem )। তবে আগামীকাল থেকে বৃষ্টি কমবে, বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours