Hathras Stampede: বিলাসবহুল আশ্রমে প্রাইভেট রুম-ক্যাফে! কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক ভোলে বাবা

Bhole Baba assets: হাথরসের ভোলে বাবার সম্পত্তি দেখে তাজ্জব পুলিশ! জানেন কত টাকার মালিক সুরজ?
WhatsApp_Image_2024-07-05_at_405.37_PM_(1)
WhatsApp_Image_2024-07-05_at_405.37_PM_(1)

নিউজ ডেস্ক: হাথরসের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার (Hathras Stampede) পর থেকেই বেপাত্তা স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবা। তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও পুলিশ ভোলে বাবা এবং অনু্ষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। সেই তদন্তের প্রেক্ষিতেই ভোলে বাবার বেশকিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেইসব নথি ও তথ্য দেখেই চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারীদের। সম্প্রতি হাথরসের সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে ১২১ জনের মৃত্যুর পর ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ হরি সরকার ওরফে সুরজ পালের নামে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। আর তদন্তের মধ্যেই এবার মিলল তাঁর বিপুল সম্পত্তির (Bhole Baba assets) হদিশ। 

কত টাকার মালিক ভোলে বাবা? (Hathras Stampede) 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বাজেয়াপ্ত হওয়া নথিগুলি থেকে প্রমাণ মিলেছে, ভোলে বাবা বিপুল সম্পত্তির (Bhole Baba assets) অধিকারী। উত্তর প্রদেশের মইনপুরীতে তাঁর একটি ১৩ একরের পাঁচতারা আশ্রম রয়েছে। যার বাজারদর বর্তমানে ৪ কোটি টাকা। যে আশ্রমের খোঁজ পুলিশ পেয়েছে তাতে অন্তত ১৫-২০টি ঘর রয়েছে। তার মধ্যে ৬টি ঘর শুধুমাত্র ভোলে বাবার নিজস্ব কাজের জন্য ছিল। বাকি ৬-৭টি ঘর বরাদ্দ ছিল আশ্রমের কমিটির সদস্য এবং ভলেন্টিয়ারদের জন্য। ভোলে বাবার লাক্সারি লাইফ এখানেই শেষ হচ্ছে না। এই আশ্রমে আসার জন্য একটি প্রাইভেট রাস্তাও ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পাশাপাশি এলাহি এক ক্যাফিটেরিয়াও রয়েছে আশ্রমে। এছাড়াও জানা গিয়েছে, এমন আরও একাধিক সম্পত্তি দেশজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে ভোলে বাবার নামে। তাদের দাম অন্তত কোটি টাকার কাছাকাছি। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানায়, 'ভোলে বাবা রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ২৪টি আশ্রমের তত্ত্বাবধান করেন। যদিও তাঁর মূল বাসস্থান মইনপুরীর এই আশ্রমই।'
হাথরাসের ঘটনা (Hathras Stampede) নিয়ে ইতিমধ্যে দেশের রাজনৈতিক মহল আন্দোলিত। ওই ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই হলেন শিশু এবং মহিলা। ইতিমধ্যেই কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে? তা নিয়ে উঠে আসছে নানান তত্ত্ব। কীভাবে একজন স্বঘোষিত ধর্মগুরু এমন অনু্ষ্ঠান করার অনুমতি পেলেন, কেন আগে থেকে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, সেই প্রশ্ন উঠছে বারবার।

আরও পড়ুন: সাঁওতাল মেয়েদের ধর্মান্তরণ! অবৈধ বাংলাদেশিদের তাড়ানোর নির্দেশ ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের

যৌন হেনস্তার অভিযোগও রয়েছে ভোলে বাবার বিরুদ্ধে

যদিও শুরু থেকেই সাধু ছিলেন না সুরজ পাল। তাঁর দাবি, একটা সময় পর্যন্ত তিনি ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোতে চাকরি করতেন। ধর্মীয় উপদেশ দেওয়ার জন্য তিনি নাকি চাকরি ছেড়ে দেন। ভোলে বাবার বিরুদ্ধে এর আগে যৌন হেনস্তার অভিযোগও উঠেছিল। কিন্তু তখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি তাঁর বিরুদ্ধে। এখন হাথরাসের এই ঘটনার (Hathras Stampede) পর তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া পুরনো মামলাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles