মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে আসলের থেকে সুদের দাম বেশি। দাদু-দিদাদের কাছে নাতি-নাতনিদের আদর সব সময় বেশি। নাতি বা নাতনিদের যাবতীয় আব্দার মেটান দাদু-দিদারাই। বাবা-মার শাসন করলে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দাদু-দিদার কোলে চলে যায় ছোট শিশু। তাঁদের প্রশয়ে বাড়ির মাথা হয়ে যায় ছোট-ছেলে বা মেয়েটি। কর্মব্যস্ত জীবনে বাড়ির বড়দের কাছেই ছোট শিশুকে রেখে কাজের জগতে বেড়িয়ে পড়ে বাবা-মা। অবসর জীবনে দাদু-দিদারও সঙ্গী হয়ে যায় নাতি-নাতনি। শিশুর হাঁটা-চলা না থাকলে বাড়ি ফাঁকা লাগে এমনটাই ভাবেন দাদু-দিদারা। তাই নাতি-নাতনি না থাকলে হতাশ হন দাদু-দিদারা। কিন্তু দাদু-দিদা না হতে পারার জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে পুত্র এবং পুত্রবধূর বিরুদ্ধে মামলা করার ঘটনা বিরল। এই অবাক ঘটনা ঘটেছে উত্তরাখন্ডের হরিদ্বারে।
ছেলে বৌমার বিয়ে হয়েছে ২০১৬ সালে, তারপর কেটে গিয়েছে ৫ বছর। এখনও তাঁদের কোনও সন্তান হয়নি। সন্তান হোক, সেটাও চান না তাঁরা। বিষয়টা মেনে নিতে পারেননি ছেলের মা। তাই শেষ পর্যন্ত কোর্টের দ্বারস্থ হলেন শাশুড়ি। শুধু তাই নয়, পুত্র ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মামলা করেছেন তিনি। প্রৌঢ় এস আর প্রসাদ এবং তাঁর স্ত্রীকে এই যন্ত্রণা নিয়ে গিয়েছে আদালতের দরজা পর্যন্ত।
আদালতে এস আর প্রসাদ ছেলের কাছে দাবি করেছেন, "হয় তোমরা নাতি-নাতনি দাও, না হলে ৫ কোটি টাকা দাও।" বৃদ্ধ ওই দম্পতি জানিয়েছেন যে, ছেলের পড়াশোনার পেছনে প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ করেছেন তাঁরা। বিদেশে পড়িয়েছেন। ছেলেকে একজন সফল পাইলট বানিয়েছেন। ২০১৬ সালে ছেলের বিয়ে দেন তাঁরা। সেই বিয়েতেও বিশাল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছিল। মা, বাবা নিজেদের টাকা খরচ করে নব দম্পতিকে তাইল্যান্ডে মধুচন্দ্রিমায় পাঠিয়েছিলেন।
কিন্তু সমস্যার শুরু তারপর থেকেই। শাশুড়ি জানিয়েছেন, বিয়ের পরই পুত্রবধূ তাঁর ছেলেকে হায়দরাবাদে গিয়ে থাকতে বাধ্য করে। তারপর থেকে বাবা মায়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে ছেলের। ওই দম্পতির কথায়, নাতি বা নাতিনি যা-ই হোক তাতেই তাঁরা খুশি। তাই কোর্টে গিয়ে মামলা করেছেন তাঁরা। মামলায় বলা হয়েছে, আগামী এক বছরের মধ্যে যদি পুত্র ও পুত্রবধূর সন্তান না হয়, তাহলে বাবা ও মা’কে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
+ There are no comments
Add yours