Gymnast Dipa Karmakar: এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা ছিনিয়ে ইতিহাস দীপা কর্মকারের

Asian Gymnastics Championship: অলিম্পিক্সের দলে ঠাঁই হয়নি, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা ছিনিয়ে ইতিহাস...
dipa-karmakar_f
dipa-karmakar_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অলিম্পিক্সের দলে ঠাঁই হয়নি জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারের (Gymnast Dipa Karmakar)। তবে সে ক্ষত ভুলে প্রথম ভারতীয় হিসেবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা ছিনিয়ে নিলেন তিনি। রবিবার তাসখন্দে জিমন্যাস্টিকের ভল্ট ফাইনালে সোনা জিতে নিলেন বছর তিরিশের দীপা। ফাইনালে দীপার গড় ১৩.৫৬৬। উত্তর কোরিয়ার দুই প্রতিযোগীকে পরাস্ত করে ভিকট্রি ল্যাপের সব চেয়ে উঁচু জায়গাটা দখল করেন এই ভারতীয়। দ্বিতীয় হয়ে রুপো জিতেছেন কিম সন হ্যাং। ব্রোঞ্জ জিতেছেন কিয়ং বিয়ল। তাঁদের গড় যথাক্রমে ১৩.৪৬৬ এবং ১২.৯৬৬।

ভুললেন দুঃখ (Gymnast Dipa Karmakar)

২০১৬ সালের রিও অলিম্পিক্সে অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া হয়েছিল দীপার (Gymnast Dipa Karmakar)। তার আগের বছরই এশিয়ান সিনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে যোগ দিয়েছিলেন এই সোনার মেয়ে। তবে সেবার সোনা জিততে পারেননি। ব্রোঞ্জ নিয়েই ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। সেদিনের সেই দুঃখ ভুলিয়ে দিল এদিনের সোনার পদক। সাইয়ের তরফে দীপার এদিনের কীর্তিকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করা হয়েছে। ২০১৮ সালে তুরস্কের মার্সিনে এফআইজি বিশ্বকাপে ভল্টে সোনা জিতেছিলেন এই মহিলা জিমন্যাস্ট। এবার তিনি জিতলেন এশিয় পর্যায়ে সোনা।

কী বললেন সোনার মেয়ে?

পদক জেতার পর সোনার মেয়ে বলেন, “অস্ত্রোপচার ও সাসপেনশনের পর এই পারফরম্যান্স ভালো লাগছে। আগে কোনও ভারতীয় জিমন্যাস্ট এই প্রতিযোগিতায় সোনা জেতেননি। তাই এই পদকটি আমার কাছে স্পেশাল।” তিনি বলেন, “অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করতে না পারার হতাশা রয়েছে। কিন্তু এখনকার মুহূর্ত উপভোগ করতে চাই।”

ডোপ টেস্টে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ২১ মাসের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছিল দীপাকে। তার জেরেই তাঁর প্যারিস অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা কমতে শুরু করেছিল। প্যারিস অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জনের শেষ ইভেন্ট ছিল অল-অ্যারাউন্ড বিভাগ। এই বিভাগের পারফরমেন্সে অলিম্পিক্সের টিকিট অর্জনে ব্যর্থ হন দীপা। এপ্রিলে এফআইজি অ্যাপারেটাস বিশ্বকাপে ভল্ট ফাইনালে তিনি হন চতুর্থ। তার আগে কটবাসে বিশ্বকাপ ইভেন্টে মাঠে নামেননি তিনি। কায়রোয় বিশ্বকাপে হয়েছিলেন ফিফথ।

আর পড়ুন: ২৮ তারিখ কলকাতায় রোড-শো মোদির, আগে যাবেন বাগবাজারে সারদা মায়ের বাড়ি

দীপার কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী। তিনি বলেন, “এশিয়ান সিনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে অলিম্পিক্সের একটিমাত্র জায়গাই ফাঁকা ছিল। সেরা অল-অ্যারাউন্ড পারফর্মারের, যেটি পেয়েছেন তৃতীয় স্থানাধিকারী ফিলিপিন্সের এম্মা মালাবুয়ো। তাই দীপার (Gymnast Dipa Karmakar) কাজটা কঠিনই ছিল।” সেই হার্ডল পেরিয়েই দেশকে সোনা এনে দিলেন এই ভারতীয়।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles