মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রহ্মপুত্র (Brahmaputra)নদের উপর ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাঁধ তৈরির করতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) ইংকিয়ং (Yingkiong)য়ে ওই বৃহৎ বাঁধ তৈরি করতে খরচ হবে আনুমানিক ৫০ হাজার কোটি টাকা। এই অরুণাচল সীমান্তের কাছাকাছি তিব্বতের মেডগ কাউন্টিতে ইয়ারলাং জ্যাংবো নদীর উপর বাঁধ তৈরি করেছে বেজিং। এবার তিব্বতে ব্রহ্মপুত্রের বুকে চিনা ‘মেগা ড্যাম’ প্রকল্পের পালটা অরুণাচল প্রদেশে এই বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা করছে নয়াদিল্লি।
চিন অধিকৃত তিব্বত অঞ্চলের উৎসস্থল থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে ইয়ারলাং জ্যাংবো নদী। অরুণাচলে পৌঁছে এর নাম হয়েছে সিয়াং। আর অসমে প্রবেশ করার পরে এই সিয়াংই পরিচিত হয় ব্রহ্মপুত্র নামে এবং এর পর ফের সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ব্রহ্মপুত্র। বর্ষার সময় এই নদের জল উপচে পড়লেও বছরের অন্য সময়ে তিব্বতের বরফ গলা জলই এই নদে জলপ্রবাহ ধরে রাখে।
প্রসঙ্গত, নদীর অবস্থানের সুবাদে ভারতের (India) চেয়ে অনেক সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে চিন। বিশেষ করে তিব্বত অঞ্চল নিজেদের দখলে রাখার পরে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম নদীগুলির উৎস রয়েছে বেজিংয়ের কবজায়। এর মধ্যে ৪৮% নদীর জলই ভারতের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলে। চিনের ওই নয়া প্রকল্পের কারণে স্বভাবতই জল কমে যাবে ব্রহ্মপুত্রের। আবার বর্ষার সময় চিন বাঁধের জল ছাড়লে অসমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল,বাংলাদেশের একাধিক জায়গা জলের তলায় চলে যেতে পারে, বলে আশঙ্কা ছিল ভারতের। তাই চিনকে আটকাতে ভারত এই নতুন প্রকল্প হাতে নিতে চলেছে বলে অনুমান।
দেশের জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, “চিনা বাঁধ থেকে তৈরি হওয়া সমস্যা ও কুপ্রভাব কাটাতে এই মুহূর্তে অরুণাচল প্রদেশে ব্রহ্মপুত্রের বুকে একটি বাঁধ তৈরির প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের সর্বোচ্চ স্তরে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।” তিনি আরও জানান, বাঁধের মাধ্যমে জল ধরে রাখার জন্য বিশাল জলাধার তৈরি করবে ভারত। এর ফলে তিব্বতে চিনা বাঁধ থেকে আচমকা জল ছাড়লে হড়পা বানের আশঙ্কা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা যাবে। পাশাপাশি, এর ফলে বর্ষার সময় ছাড়া বছরের অন্য দিনে উত্তর-পূর্ব ভারতে জলসংকটের মোকাবিলাও করা যাবে।
+ There are no comments
Add yours