মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নীল জলের সমুদ্রের সৈকত ও ঔপনিবেশিক আমলের স্থাপত্যের বাইরেও গোয়ার নিজস্ব পরিচয় রয়েছে। গোয়ার আসল পরিচয় তার কৃষ্টি সংস্কৃতিকে, জীব বৈচিত্র । গোয়া এই দিকটিকেই এবার পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে চাইছে গোয়া সরকার। গোয়ার পর্যটন (Goa Tourism) বিভাগের তরফে “গোয়া বিয়ন্ড বিচেস” (Goa Beyond Beaches) নামে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগের লক্ষ্য গোয়ার বিচ, পানিয়ের ঠেক এবং ঔপনিবেশিক আমলের স্থাপত্যের বাইরেও গোয়ার মানুষের জীবনযাত্রা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং বন্যজীবন পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা।
GOA TOURISM SHIFTS FOCUS BEYOND BEACHES#GoaTourism #GoaAssembly #MonsoonSession #PRIMEUPDATE #GoaTourism #DekhoApnaDesh #ChaloIndia #SustainableTourism #InnovationInTourism #CultureAndTradition pic.twitter.com/4ZPsZVphss
— Prime Media Goa - TV Channel (@PrimeTVGoa) July 22, 2024
গোয়ায় হোমস্টে তৈরিতে আর্থিক সহযোগ
সপ্তাহান্তে এবং বিশেষ বিশেষ সময় গোয়ার বিচগুলিতে গিজগিজ করে মানুষের কালো মাথায়। অথচ গোয়ার অনেক দর্শনীয় স্থল রয়েছে, যেগুলি যথেষ্ট আকর্ষণীয় হলেও সেগুলি ততটা জনপ্রিয় হয়নি। গো যত ভিড়, সমুদ্রের পারে। গোয়ার পর্যটন বিভাগের আধিকারিক দীপক নাভরেকর বলেন, “আমরা চাইছি, গোয়ার আসল সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে। গোয়া মানে শুধুমাত্র সমুদ্রের পাড় নয়, গোয়ার কৃষ্টি, সংস্কৃতি, গোয়ার মানুষের জীবন, গোয়ার বৈচিত্র আমরা পর্যটকদের কাছে তুলে ধরছি। এর জন্যই নতুন করে সরকারের তরফে (Goa Beyond Beaches) উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। “গোয়া বিয়ন্ড বিচেস’ খুব দ্রুত পর্যটকদের মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, গোয়ার পর্যটনস্থলের বাইরে যে সমস্ত জায়গায় সৌন্দর্য, কৃষ্টি-সংস্কৃতি রয়েছে, সেগুলি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা। জানা গিয়েছে, গোয়ার বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ এলাকায় যারা হোমস্টে তৈরি করবেন, সরকার তাঁদের দুই লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য দেবে। মূলত অভ্যন্তরীণ এলাকা যেমন কানাকোনা, বিচোলিম, সাত্তারিকে জনপ্রিয় করে তোলার প্রাথমিক উদ্দেশ্য নিয়ে এগোচ্ছে গোয়ার পর্যটন বিভাগ (Goa Tourism)।
গোয়ার অভয়ারণ্য (Goa Beyond Beaches)
গোয়া মানেই দর্শকদের কাছে দক্ষিণ গোয়ার উপনিবেশিক আমলের স্থাপত্য এবং নর্থ গোয়ার আরব সাগরের নীল জলের বিচার পাশে তিন তারা, পাঁচ তারা হোটেল আর সমুদ্রের পাড়ের বিচ স্যাক। সরকার চাইছে এই ধারণা ভেঙ্গে গোয়ার বন্যজীবন, গোয়ার গ্রামীণ কোঙ্কণী মানুষের জীবন এবং কৃষ্টি-সংস্কৃতি বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। নীল জলের সমুদ্রের রাজ্যে বন্যপ্রাণী সাফারির কথা জানেনই না অনেক পর্যটক। গোয়াতে কোটিগাও, মাধেই, নেত্রভালি এবং সেলিম আলী বার্ড স্যাংচুয়ারি রয়েছে। এগুলি দর্শনীয় হলেও প্রচারের অভাবে সেভাবে দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়। সরকার চাইছে এই সমস্ত জায়গাগুলিকে (Goa Beyond Beaches) জনপ্রিয় করে তুলতে। বিশেষ করে গোয়া কর্নাটকে সীমান্তের কোটিগাও অভয়ারণ্যে উড়ন্ত কাঠবিড়ালি, এশিয়ান ও ভারতীয় ভাম বিড়াল, মাউস ডিয়ার, স্লেন্ডার লরিস, নানান প্রজাতির হরিণ ও নানান ধরনের জীবজন্তু দেখার সুযোগ রয়েছে। একইভাবে মাধেই অভয়ারণ্যে নানান প্রজাতির হরিণ, গন্ধগোকুল, বন্য শুকর, কালো চিতাবাঘ দেখার সুযোগ রয়েছে। অথচ বেশিরভাগ পর্যটক গোয়ায় এসে সমুদ্রের পাড়ে সময় কাটিয়ে ফিরে যান। তাঁরা জানেনই না গোয়ার এই সকল অভয়ারণ্যের কথা।
আরও পড়ূন: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারে ১০ লাখ ডলার দেবে ভারত! ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এর দায়িত্ব সরকারের (Goa Tourism)
শুধুমাত্র সরকার এটুকুতেই সীমিত থাকতে চায় না। বিশেষ করে যারা ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এর জন্য গোয়ায় যেতে চান, তাঁদের জন্য সরকার এক নতুন ভাবনা নিয়ে এসেছে। সরাসরি গোয়ার পর্যটন বিভাগের কাছে আবেদন করলেই হবে। সরকারের তরফেই বাকি পরিষেবা দেওয়া হবে। বর্তমানে মধ্যবিত্তদের মধ্যেও ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এর আগ্রহ বেড়েছে। সরকার চাইছে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গোয়ার পর্যটনকে (Goa Tourism) এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours