মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটব্যাঙ্কে ধস নামার ভয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, সংক্ষেপে সিএএ-র (CAA) বিরোধিতা করেছিল এ দেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক দল। এদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি সুর চড়িয়েছিল কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস। কার্যত তাদের মুখেই ঝামা ঘষে দিলেন রাজস্থানের জয়পুরের এক মুসলিম মহিলা ফাইজা রিফাত। জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের (UNHRC) ৫৭তম অধিবেশনে বক্তৃতা দেন তিনি। সেখানেই জোরালো সওয়াল করেন সিএএ-র পক্ষে।
সিএএ (UNHRC)
প্রসঙ্গত, সিএএ-র মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান-সহ ছটি অমুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। রিফাত বলেন, “যারা ঐতিহাসিকভাবে তাদের নিজ দেশে নিপীড়নের সম্মুখীন হয়েছে, তাদের আশ্রয় ও আইনি মর্যাদা প্রদান করে সিএএ।” বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যে নৃশংস অত্যাচার হচ্ছে, সে প্রসঙ্গ তুলে ধরে রিফাত বলেন, “সিএএ-র বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুরা চলমান নিপীড়ন ও নির্বাচনী হিংসার মুখোমুখি হচ্ছে। এই ব্যক্তিদের নিরাপদ পরিবেশে অভিবাসনের জন্য সিএএ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প প্রদান করে এবং তাঁদের মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে দেয়।”
আরও পড়ুন: “পুজো কমিটিগুলোকে কম করে ১০ লাখ টাকা দিন”, রাজ্যকে কটাক্ষ আদালতের
কী বলছেন রিফাত
তিনি বলেন, “সিএএ নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা প্রকৃত উদ্বাস্তু ও অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে পার্থক্য করতে সাহায্য করে। যার ফলে অবৈধ অভিবাসন রোধ করার সময় বৈধ আশ্রয়ের দাবিদারদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।” রিফাতের যুক্তি (UNHRC), এই পার্থক্যের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এতে মাদক পাচারে যারা যুক্ত কিংবা অন্য কোনও অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। বিশেষত, সীমান্ত এলাকায়। রিফাত বলেন, “সিএএ (CAA) দুর্বল সংখ্যালঘুদের জন্য একটা সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা। এই আইন তাদের শোষণ থেকে রক্ষা করে। ভারতীয় সীমানায় তাদের সুরক্ষাও নিশ্চিত করে (UNHRC)।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours