মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে ইতালি। আবারও খবরের কেন্দ্রে একটি টাওয়ার। ফি বছর তামাম বিশ্ব থেকে লক্ষ লক্ষ পর্যটক আসেন ইতালির পিসার হেলানো টাওয়ার দেখতে। এবার সেই ইতালিতেই হেলে পড়ছে আরও একটি টাওয়ার। সেটি হল বোলোগনা এলাকার গ্যারিসেন্ডা টাওয়ার (Garisenda Tower)। হাজার বছরের পুরানো এই টাওয়ার হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তে পারে যে কোনও সময়। তাতেই বাড়ছে আশঙ্কা।
ঘনীভূত হচ্ছে আশঙ্কার মেঘ
পিসার বিখ্যাত টাওয়ার প্রায় আটশো বছরের পুরানো। ১৮৬ ফুট উঁচু এই টাওয়ার নির্মাণের কিছুদিন পরেই হেলতে শুরু করে। টাওয়ারটির হেলে যাওয়া রুখতে চেষ্টার কসুর করছেন না বিজ্ঞানীরা। তার পরেও ক্রমেই হেলছে পিসার টাওয়ার। এহেন আবহে ইতালি সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে হাজার বছরের পুরানো গ্যারিসেন্ডা টাওয়ার। টাওয়ারটি ১৫০ ফুট উঁচু। চতুর্দশ শতক থেকেই সেটি হেলে রয়েছে ৪ ডিগ্রি। আর তার চেয়ে বয়সে প্রায় দু’ শতাব্দী ছোট পিসার টাওয়ার হেলে রয়েছে ৫ ডিগ্রি (Garisenda Tower)। তবে পিসার টাওয়ারের চেয়ে দ্রুত হেলছে গ্যারিসেন্ডা টাওয়ার। তাই ঘনীভূত হচ্ছে আশঙ্কার মেঘ। ত্রস্ত এলাকাবাসী।
কী বলছে সেন্সর?
দুর্ঘটনা এড়াতে টাওয়ারটির চার পাশে কর্ডন তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। টাওয়ারটি যাতে আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে না পড়ে, সেই চেষ্টাও করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে তাতে কতটা কাজ হবে, আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান বিজ্ঞানীদেরই একাংশ। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গ্যারিসেন্ডা টাওয়ারের কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না পর্যটকদের। অবশ্য এই প্রথম নয়, ২০১৯ সালেই গ্যারিসেন্ডা টাওয়ার ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তখনই সরকারকে টাওয়ারটির হালহকিকত জানাতে পেশ করা হয়েছিল ২৭ পাতার একটি রিপোর্ট। নজরদারি চালাতে তখনই বসানো হয়েছিল সেন্সর। সেই মেশিনই জানিয়ে দিচ্ছে গ্যারিসেন্ডা টাওয়ারের শেষের সে দিন আসতে খুব বেশি দেরি নেই। যে কোনও দিনই ভেঙে পড়তে পারে ইতালির অন্যতম এই গর্ব।
আরও পড়ুুন: “চোরেরা কী করে তাড়াতাড়ি জেলে যায় সেই কাজেই আমরা ব্যস্ত” হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
তবে ইতালির বিজ্ঞানীদের একটা বড় অংশের দাবি, গ্যারিসেন্ডা টাওয়ারটি নিয়ে এখনই এত আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ, সেন্সর এখনও রেড অ্যালার্ট দেয়নি। যা দিয়েছে, তা হল হলুদ অ্যালার্ট। যার অর্থ, টাওয়ারটির ধূলিসাৎ হওয়া রুখতে এখনও বেশ কিছুটা সময় পাবেন বিজ্ঞানীরা (Garisenda Tower)।
ইতিহাসের পতন রোখা যাবে কি!
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours