ED Arrests Ravi Narain: ফোন ট্যাপিং মামলায় এনএসই-র প্রাক্তন সিইও রবি নারায়ণকে গ্রেফতার করল ইডি

ইডি-র বিশেষ আইনজীবী এন কে মাট্টা দিল্লি হাইকোর্টে বলেছিলেন, নারায়ণ এবং অন্যান্য অভিযুক্ত এনএসইর কর্মীদের প্রতারণা করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন।
Enforcement_Directorate_
Enforcement_Directorate_

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি ফোন ট্যাপিং মামলায় বড় পদক্ষেপ নিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গ্রেফতার করা হল ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (National Stock Exchange) প্রাক্তন সিইও ও এমডি রবি নারায়ণকে (Ravi Narain)। মঙ্গলবারই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। নারায়ণের বিরুদ্ধে ২০০৯ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে এনএসই কর্মীদের ফোন বেআইনিভাবে ট্যাপ করার অভিযোগ রয়েছে।  

গত ১৪ জুলাই নারায়ণ, প্রাক্তন এনএসই প্রধান চিত্রা রামকৃষ্ণ এবং মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় পান্ডের বিরুদ্ধে পিএমএলএর অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে ইডি। উল্লেখ্য, এর আগে সিবিআইয়ের তরফেও এই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ‘৮ ব্যাগ সোনা ছিল, একটা আটকেছে কাস্টমস...’, অভিষেককে আক্রমণ শুভেন্দুর

ইডি-র বিশেষ আইনজীবী এন কে মাট্টা দিল্লি হাইকোর্টে বলেছিলেন, নারায়ণ এবং অন্যান্য অভিযুক্ত এনএসইর কর্মীদের প্রতারণা করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এমনকি পান্ডের তৈরি সংস্থা iSEC Services Pvt Ltd-এর মাধ্যমে কর্মীদের ফোনালাপের ওপরও নারায়ণ নজর রাখতেন বলে এদিন জানান আইনজীবী।   

সাইবার নিরাপত্তার আড়ালে এইসব করা হত বলে দাবি করেছে ইডি। ধৃত রবি নারায়ণ ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত এনএসইর চিফ ছিলেন। এরপর সেই পদের দায়িত্ব পান চিত্রা রামকৃষ্ণ। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন তিনি। দুজনেই বড় কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

আরও পড়ুন: মমতার ‘গদ্দার’ কটাক্ষের জবাব দিলেন শুভেন্দু, কী বললেন জানেন? 
  
এর আগে, ফোন ট্যাপিং মামলায় প্রাক্তন ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের এমডি এবং সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। একই সময়ে, কো-লোকেশন মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। একই সময়ে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অভিযুক্ত বেআইনি ফোন ট্যাপিং মামলায় মুম্বাইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় পান্ডেকেও গ্রেফতার করেছিল।  

কো-লোকেশন পরিষেবার মাধ্যমে ব্রোকার্সদের নিজস্ব সার্ভার সেট আপ করার অনুমতি দেওয়া হয়। এর সাহায্যে তারা দ্রুত শেয়ার বাজারের গতিবিধি জানতে পারে। শুধু তাই নয়, এভাবে দ্রুত লাভও পাওয়া যায়। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে, একাধিক ব্রোকার্স এই পরিষেবা ব্যবহার করে মোটা লাভের অঙ্ক ঘরে তুলেছেন।  

২০১৮ সাল থেকে সিবিআই দিল্লি-ভিত্তিক স্টক ব্রোকারের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। সেবি (SEBI)-এর রিপোর্টের পরে এনএসই-এর তৎকালীন শীর্ষ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অফিসের অপব্যবহারের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। ২৫ ফেব্রুয়ারী, সিবিআই সেবির রিপোর্টের পরে এক্সচেঞ্জে কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু করে। এনএসই গ্রুপের প্রাক্তন অপারেটিং অফিসার আনন্দ সুব্রামানিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয় সেই সময়। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles