Assam Flood: বন্যায় বিপর্যস্ত অসম! জীবন বাঁচাতে বন্য প্রাণীরা লোকালয়ে, আতঙ্কিত বাসিন্দারা

বন্যায় বিপর্যস্ত অসমে গবাদি পশু নিয়ে ত্রাণ শিবিরে মানুষ, সেখানেও ঢুকছে বন্য প্রাণী
Untitled_design(150)
Untitled_design(150)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যায় অসম (Assam Flood) সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত। সরকারি হিসেব বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কমপক্ষে এক লক্ষ মানুষ। এখানেই শেষ নয়, প্রতিনিয়ত বাড়ছে সংখ্যা। ত্রাণ শিবিরে সংকুলান হচ্ছে না জায়গা। কিন্তু শুধুমাত্র মানুষ নয়। বন্যায় একই ভাবে দুর্গত হয়ে পড়েছে বন্য প্রাণীও। সড়ক পথে প্রাণ ভয়ে আশ্রয় নিতে দেখা যাচ্ছে, সাপ, হরিণ ইত্যাদিকে। বিপদসীমা তো কবেই পার হয়েছে, আপাতত ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র। ব্রহ্মপুত্রের দাপটে জলোচ্ছ্বাস (Assam Flood) দেখা গিয়েছে কাজিরাঙার অভয়ারণ্যের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সেখানকার বন্য জীবন। অরণ্যের বাইরে লোকালয়ে তাদের দেখা মিলছে। বন্যা কবলিত অসমে কাজিরাঙার অন্যতম বড় আকর্ষণ আগোরাতলি রেঞ্জও জলের তলায়। ফি বছর এখানে উপচে পড়ে পর্যটকদের ভিড়। কয়েক জায়গায় তো জলস্তরের উচ্চতা সাত ফুট ছুঁয়েছে। ফলে সেই এলাকায় যে বন্য জন্তু-জানোয়ারের বসবাস, তাদের প্রাণ বাঁচাতে জায়গা ছাড়তে হচ্ছে। কিন্তু যাওয়ার তো জায়গা নেই, তাই ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে।

লোকালয়ে বন্য প্রাণী, আতঙ্কে বাসিন্দারা

লোকালয়ে বন্য প্রাণী ঢুকলে তা নিশ্চিতভাবেই আতঙ্কের কারণ। বিভিন্ন উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দারা বলছেন, ‘‘আমরা সঙ্গে নিয়ে এসেছি গোরু, মহিষ এবং গবাদি পশুগুলিকেও। কারণ এইগুলিই আমাদের আয়ের উৎস। ভয় লাগছে এই গবাদি পশুগুলিকেও আক্রমণ করতে পারে বন্য প্রাণীরা। কারণ চিতা, বন্য শূকর এবং অন্যান্য প্রাণী আমাদের ক্যাম্পের কাছে চলে আসছে। তাই স্বেচ্ছাসেবকরা এখন রাতে মশাল জ্বালিয়ে ওই প্রাণীগুলিকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে।’’

চোরা শিকারিদের উৎপাত বাড়তে পারে এইসময়

সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ৬৮টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গল ক্যাম্প আপাতত জলের তলায় (Assam Flood)। অরণ্যে বসবাসকারী পশুরা প্রাণ বাঁচাতে জঙ্গল ছেড়ে উঠে পড়েছে অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায়। আবার কিছু পশুকে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক পার হতেও দেখা যাচ্ছে। বিগত বছরগুলিতে চোরাশিকারিদের উৎপাত বন্ধ করা গেছে সরকারি কড়া পদক্ষেপে। বন্য জন্তুদের প্রাণ বাঁচাতে বিজেপি সরকারের এমন উদ্যোগ দেশ বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। তবে বন্যার (Assam Flood) এমন পরিস্থিতিতে তাদের উৎপাত ফের বাড়তে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পর্যবেক্ষকরা বলছেন,  এই সময়েরই অপেক্ষায় থাকে চোরাশিকারিরা। কারণ, এই সময় পশুরা বিভ্রান্ত থাকে। ফলে তাদের ফাঁদে ফেলে মেরে দেওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ। বন দফতরের কর্মীদের সে দিকে খেয়াল রাখতে হচ্ছে। এছাড়া ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনাতেও প্রাণ যাচ্ছে বন্য জন্তুদের।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles