Fake Police Station: বিহারে নকল ‘থানা’ ভুয়ো ‘পুলিশের’ হদিশ পেল আসল পুলিশ 

যখন একের পর এক জালিয়াতির খবরে জেরবার বাংলা,  তখনই নতুন ধরণের এক প্রতারণার খবর এল প্রতিবেশি রাজ্য বিহার থেকে।
Fake_Police_Station
Fake_Police_Station

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোর-ডাকাত ধরতে পুলিশ যাচ্ছে, এ ঘটনা তো হামেশাই দেখা যায়। কিন্তু পুলিশ ধরতে পুলিশ যাচ্ছে এমন আজব কথা কস্মিনকালে কেউ শুনেছে কখনও! এমনটাই ঘটেছে বিহারে (Bihar)। আসল পুলিশ হানা দিল নকল থানায়। আর গ্রেফতার করল পুলিশের উর্দিধারী বহুরূপীদের।  

আরও পড়ুন: বিহারে নীতীশ মন্ত্রিসভার ৭২ শতাংশ মন্ত্রীই দুর্নীতিগ্রস্ত!

যখন একের পর এক জালিয়াতির খবরে জেরবার বাংলা, তখনই নতুন ধরণের এক প্রতারণার খবর এল প্রতিবেশি রাজ্য বিহার থেকে। আটমাস ধরে এক গেস্টহাউজে ভুয়ো 'থানা' (Fake Police Station) চালাচ্ছিল একদল প্রতারক। 

ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বাঙ্কা (Banka) এলাকায়। বুধবার সকালে পুলিশ 'অনুরাগ গেস্ট হাউসে' অভিযান চালিয়ে একটি ভুয়ো থানার হদিশ পায়। অভিযানে ভুয়ো পুলিশের ইউনিফর্মে দুই মহিলাসহ কমপক্ষে ছ জনকে আটক করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: লোকসভায় ৩৫টি আসন! জানুন কী ঠিক হল বিহার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে

বেশ রমরমিয়েই চলছিল এই ভুয়ো থানার ব্যবসা। মানুষের চোখে ধুলো দেওয়া হচ্ছিল আট মাস ধরে। উচ্চপদস্থ অফিসারদের মতো উর্দিও ছিল ভুয়ো পুলিশ আধিকারিকদের। পুলিশকর্মীর সংখ্যা বাড়াতে ৫০০ টাকা দিয়ে দিনমজুরদেরও ভাড়া করা হত।  কিন্তু হঠাতই ছন্দ পতন হয়। ভুয়ো পুলিশকর্মীদের অস্ত্র দেখে সন্দেহ হয় এক আসল পুলিশ আধিকারিকের।

আর তারপরেই খবর পেয়ে ওই গেস্ট হাউজে অভিযান চালায় পুলিশ বাহিনী। তাতেই ফাঁস হয় বিষয়টি।  

পুলিশ আধিকারিক ডি সি শ্রীবাস্তব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যে স্থানীয় পুলিশ প্রধানের বাড়ি থেকে মেরেকেটে ৫০০ মিটার দূরেই সেই ভুয়ো থানা চলছিল। উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের মতো রীতিমতো ব্যাজ, ইউনিফর্ম পরা হত সেখানে। অস্ত্রও থাকত। সেই ভুয়ো থানায় অভিযোগও জানাতে আসতেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মামলাও রুজু করা হত বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক।   

পুলিশ আধিকারিক আরও জানান, মামলার অজুহাতে অভিযোগকারীদের থেকে টাকা নেওয়া হত। সেইসঙ্গে পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেওয়া এবং পুলিশের আবাসন পাইয়ে দেওয়ার নামে স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে টাকা তুলত এই ভুয়ো পুলিশ গ্যাং। শুধু তাই নয়, স্থানীয় দিনমজুমদের ৫০০ টাকা দিয়ে পুলিশকর্মীও সাজানো হত। কিন্তু এত কিছু করেও শেষ রক্ষা হল না।

দুজন উর্দি পরা ভুয়ো পুলিশ, এক আসল পুলিশ আধিকারিকের চোখে পড়ে যায়। দুজনের হাতে থাকা অস্ত্র দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। পুলিশ আধিকারিকরা যে সার্ভিস বন্দুক ব্যবহার করেন, ওই দুজনের হাতে তার থেকে আলাদা অস্ত্র ছিল। তারপরই বিষয়টি সামনে আসে। 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles