Egra Blast: বাজির আড়ালে বোমা! এগরায় বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি সুকান্ত-শুভেন্দুর

এগরা কাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে অমিত শাহকে চিঠি সুকান্তর...
egra_blast-sixteen_nine
egra_blast-sixteen_nine

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরার খাদিকুল গ্রামে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Egra Blast) ইতিমধ্যেই ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বেশ কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।

সুকান্তর দাবি

এই ঘটনায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠল বলে অভিমত সুকান্ত মজুমদারের। তিনি বলেন, ‘এটাই তো পশ্চিমবঙ্গের শিল্প। তৃণমূল তো গোটা রাজ্যে বোমা বন্দুকের কারখানা করেছে। গোটা দেশে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে এই ধরণের ঘটনা ঘটে। আর মুখ্যমন্ত্রীর কোনও লজ্জাও নেই। এরকম নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রী আমরা জীবনে দেখিনি যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। এতো পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি হচ্ছে। আমি দেখলাম ক্ষতবিক্ষত দেহাংশ পড়ে আছে। ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেহ লোপাট হবে। আমরা দাবি করছি এর এনআইএ তদন্ত হোক। এই দাবিতে আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখছি’।

এনআইএ তদন্তের দাবি

মঙ্গলবার দুপুরে কেঁপে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রাম। বিস্ফোরণের তীব্রতায় একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে গ্রামে পুলিশ ঢোকার চেষ্টা করতেই তাদের ঘিরে ধরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাস্তায় ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে কয়েকটি দেহ। জখম হয়েছে আরও কয়েকজন। তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। সূত্রের খবর, বাজি তৈরির আড়ালে বোমা তৈরি হত। সেখান থেকেই এই বিস্ফোরণ। ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে এগরা থানার পুলিশ।

এ দিন সকাল এগারোটা নাগাদ কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগের বাড়িতে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে৷ বিস্ফোরণের জেরে গোটা বাড়িটি উড়ে যায়৷ ওই বাড়ির চারপাশেই ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে পড়েছিলেন মৃত এবং আহতরা। এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডি-কে দেওয়া হয়েছে৷ যদিও বিরোধীরা এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, এনআইএ তদন্তে রাজ্য সরকারের আপত্তি নেই৷

আরও পড়ুন: ‘‘সঙ্ঘের পোশাকে থাকা ওই যুবক তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য’’! তোপ সুকান্তর

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এগরার খাদিকুল গ্রামে একাধিক বাড়িতে অবৈধভাবে তৈরি হয় বাজি। প্রত্যেকটি বাড়িতে বেআইনিভাবে মজুত থাকে বাজির মশলা। কোন বৈধ লাইসেন্স নেই তাদের। পরিবারগুলি বাজি তৈরি করেই টাকা উপার্জন করে। বেশিরভাগ বাড়িতে এভাবেই বছরের পর বছর বাজি তৈরির কাজ চলছে। কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগের বাড়িতে বিস্ফোরণ হতেই অবৈধ কারবার সামনে আসে।

কে এই কৃষ্ণপদ বাগ?

বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। পুলিশ এই ব্যক্তিকে আগেও গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু সে জামিন পেয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এটি বেআইনি বাজি কারখানা। যার মালিক কৃষ্ণপদ বাগ। তাকে ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে আদালত থেকে জামিন পায় সে। এই বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকেই পলাতক কৃষ্ণপদ। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles