মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে আদালতে ১৬০ পাতার চার্জশিট পেশ করল ইডি। বুধবার দুপুরে ইডির কর্তারা একটি ট্রাঙ্কে করে চার্জশিট এবং তার সমর্থনে নথিপত্র নিয়ে হাজির হন আদালতে। আর্থিক প্রতারণা আইন অনুসারে, গ্রেফতারির ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দিতে হয়। ফলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের মামলায় বিরুদ্ধে কবে চার্জশিট পেশ করা হবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। এরপর আজ অবশেষে ৫৭ দিনের মাথায় বিশেষ ইডি আদালতে চার্জশিট জমা দিল তদন্তকারীরা। বিচারক শুভেন্দু সাহার কাছে জমা দেওয়া হয় চার্জশিট।
চার্জশিট পেশ ইডির
ইডি সূত্রে খবর, ৬০ পাতার চার্জশিটের সমর্থনে ওই ট্রাঙ্কে প্রায় ৬০০০ পাতার নথি রয়েছে। ওই একই সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে যে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত এই চার্জশিটে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক (Manik Bhattacharya) ছাড়াও আরও ৫ জনের নাম রয়েছে। এর মধ্যে মানিকের স্ত্রী, পুত্র, মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল ছাড়াও চার্জশিটে অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে ২টি সংস্থার নাম। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের নাম আগেই উঠে এসেছিল।
চার্জশিটে কী কী তথ্য উঠে এল?
সূত্রের খবর অনুযায়ী, চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) অফলাইন রেজিস্ট্রেশন, অনলাইন ক্লাস ও ডিএলএড প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশনের নামে কোটি কোটি টাকা সরিয়েছেন। ডিএলএড কোর্সে অফলাইন ভর্তির জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে প্রায় ২১ কোটি টাকার বেশি নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। টাকা গিয়েছে মানিকের ছেলের কোম্পানিতে। চার্জশিটের সঙ্গে সাক্ষীদের বয়ানও আদালতে পেশ করতে চলেছে ইডি।
আবার মানিকের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিএড এবং ডিএলএড কলেজের মানোন্নয়নের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে চার্জশিটে। কিছু দিন আগে মানিকের স্ত্রীর সঙ্গে এক মৃত ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও ৩ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এসব তথ্যও উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। ফলে এবারে চার্জশিটে মানিকের স্ত্রী, ছেলের নাম উঠে আসায় আরও অস্বস্তিতে পড়লেন মানিক (Manik Bhattacharya)।
আদালতে জামিনের আবেদন করলেন মানিক
এদিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে এদিন মানিককে (Manik Bhattacharya) ফের আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে জামিনের আবেদন করেন মানিক। কিন্তু ইডি জানায় এই দুর্নীতিতে এখনও পর্যন্ত ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এসেছে। ফলে অভিযুক্তকে হেফাজতে রেখেই তদন্ত চালানো হবে।
+ There are no comments
Add yours