Durga Puja 2024: জমিদারি নেই, পারিবারিক দুর্গাপুজো নিষ্ঠার সঙ্গে বজায় রেখেছেন গ্রামের মানুষই!

Dakshin Dinajpur: তপন ব্লকের ঐতিহ্যবাহী মনোহলি জমিদার বাড়ির পুজো কালের বিবর্তনে হয়ে উঠেছে সর্বজনীন!
Dakshin_Dinajpur_Durga
Dakshin_Dinajpur_Durga

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের ঐতিহ্যবাহী মনোহলি জমিদার বাড়ি। কাটোয়ার সিন্নি গ্রাম থেকে এসে তারাচাঁদ বন্দ্যোপাধ্যায় মনোহলি জমিদারবাড়ির পত্তন করেছিলেন। তিনি শুধু জমিদারি পত্তন করেননি, ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে জমিদারবাড়িতে দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) প্রচলন করেছিলেন। যা অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার বনেদি বাড়ির পূজোগুলির মধ্যে অন্যতম। তিনি পুজোর জন্য দালান‌ মন্দির‌ও নির্মাণ করেছিলেন।

ভগ্নপ্রায় মন্দিরে আর পুজো হয় না (Durga Puja 2024)

শোনা যায়, রাজমহলের পাথর-চুন-সুরকি দিয়ে মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছিল। বিল্ডিং-এর ছাদ লোহার পাটাতনের ওপর ঢালাই দেওয়া। জমিদারি নেই, কিন্তু পুজো এখন‌ও চলেছে। বংশের অধিকাংশ শরিক কর্মসূত্রে গ্রাম ছেড়ে বাইরে থাকেন। বর্তমানে পুজোর জৌলুস কমলেও রীতি-নিষ্ঠার এতটুকু‌ও ঘাটতি হয়নি। সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পারিবারিক পুজো ২০১২ সাল থেকে বারোয়ারি পুজোয় রূপ নিয়েছে। জমিদার বাড়ির (Dakshin Dinajpur) পুরনো ভগ্নপ্রায় মন্দিরে আর পুজো হয় না। জমিদারের জমিতে এখন তৈরি হয়েছে স্থায়ী দুর্গামন্দির। পুজোর ৫ দিন মহা সমারোহে মহাভোজ হয়, সেই সঙ্গে মন্দির চত্বরে বসে মেলা‌ও। দেবীর প্রতিমা হয় সাবেকি। এখন তান্ত্রিক মতে দেবীর পুজো হলেও দীর্ঘদিন থেকে বলি প্রথা উঠে গিয়েছে। পুজোর দিনগুলিতে দেবী দুর্গাকে পঞ্চব্যঞ্জনে অন্নভোগ দেওয়া হয়।

উৎসাহ ও উন্মাদনা একই রকম

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জমিদার তারাচাঁদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Dakshin Dinajpur) ছেলে রমেশচন্দ্র বন্দোপাধ্যায় ও যোগেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দুর্গাপুজোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কালের নিয়মে বর্তমানে এই জমিদারবাড়ি ও ঠাকুর দালানের ভগ্নপ্রায় অবস্থা। তবে বর্তমানে বংশের সমস্ত শরিক পুজোয় সেভাবে অংশগ্রহণ করে না। গ্রামবাসীরা এখন এই জমিদার বাড়ির পুজোকে সর্বজনীন পুজো কমিটি তৈরি করে চিরাচরিত রীতি ও প্রথা অনুযায়ী উদযাপন (Durga Puja 2024) করেন। সকলের মঙ্গলার্থে গ্রামবাসীরা এখন‌ও দুর্গাপুজো করে আসছেন। পুজোর দিন জমিদার বাড়ির সকল শরিকদের আমন্ত্রণ করা হয়। গ্রামের সকলে চাঁদা তুলে এই পুজো করেন। জনশ্রুতি, জমিদার আমলে তপন এলাকার আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষ এই পুজো দেখতে আসতেন। তাঁরা পুজোতে অংশগ্রহণ করতেন। সেই সময়ে জমিদার বাড়ি থেকে গ্রামের মানুষজনদের মেলা দেখতে টাকা দেওয়া হত। বর্তমানে পরিচর্যার অভাবে এই জমিদার বাড়ি ভগ্নপ্রায়। তবুও এই জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে মানুষজনের উৎসাহ ও উন্মাদনায় একটুও ভাটা পড়েনি।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles