মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিম বিপর্যয়ের পর জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলায় তিস্তার পাড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পুলিশ-প্রশাসন। কারণ, সেনাবাহিনীর বহু মর্টার মজুত ছিল সেখানে। সেই মর্টার বিস্ফোরণে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছিল। পরে, সেনাবাহিনী ও পুলিশ-প্রশাসনের উদ্যোগে তিস্তার পাড় বিপদমুক্ত করা হয়। এরই মধ্যে তিস্তায় নতুন করে মাছের মড়ক শুরু হওয়ায় ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে মৎস্য দফতর (Jalpaiguri)
গত ৪ অক্টোবর সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তিস্তায়। পাহাড় থেকে নদীর জলে ভেসে আসে সেনাবাহিনীর অস্ত্রশস্ত্র। জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) মর্টার ফেটে একজনের মৃত্যু হয়। আহত হন একাধিকজন। এবার মাছের মড়ক শুরু হওয়ায় নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে তিস্তার পাড়ে। গত ৪ অক্টোবর বন্যার সময় যুদ্ধসামগ্রীর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নদীতে ভেসে আসে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল। তা থেকে জলদূষণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বাসিন্দারা। মৃত মাছ না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মৎস্য দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা। মরে ভেসে উঠছে শয়ে শয়ে নদীয়ালি মাছ। বোরোলি, দারাঙ্গি-সহ তিস্তার একাধিক প্রজাতির মাছের মড়ক লেগেছে। জলদূষণের কারণেই এই ঘটনা বলে অনুমান। ঘটনার কারণ খুঁজতে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে মৎস্য দফতর। জেলা প্রশাসন সূত্রে তা জানা গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?
এমনিতে বোরোলি-সহ নদীয়ালি মাছগুলি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সহ উত্তরবঙ্গের অত্যন্ত জনপ্রিয়, সুস্বাদু। পর্যটক ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছেও এর খুব চাহিদা। তাই মাছের মড়কের খবরে চিন্তিত স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নদীর পাড়ে বোরোলি সহ বিভিন্ন মাছ উঠে ছটফট করতে করতে মরে যাচ্ছে। তিস্তার পাড়ে গেলে দেখা যাবে, লাইন দিয়ে মাছ মরে পড়ে রয়েছে। এখন এই মাছ খাওয়া ঠিক নয়। সকলকে এই মাছ না খাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কবে আবার প্রাণভরে এসব মাছের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন তাঁরা, তা নিয়েও অনিশ্চয়তায় রয়েছে সকলে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours