মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সিকিমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তিস্তার ভয়াল রূপে তছনছ দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং পাহাড়ের পর্যটন। গত বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার বৃষ্টি এবং তিস্তার ভয়াল রূপে বিচ্ছিন্ন সিকিমের একটি বড় অংশ। দেড় হাজারেরও বেশি পর্যটক আটকে রয়েছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের বুকিং বাতিল হতে শুরু করেছে।
কেন কালিম্পঙ, দার্জিলিং থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন পর্যটকরা? (Darjeeling)
সিকিমের এই বিপর্যয়ে দার্জিলিং ও কালিম্পঙে কোনও পর্যটক আটকে নেই। তিস্তার তান্ডবে কালিম্পং-দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) রাস্তা বন্ধ। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ভয়ঙ্কর রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা পাহাড়ি পর্যটনের ভবিষ্যৎকে প্রশ্নের মুখে দাড় করিয়েছে। কালিম্পং থেকে দার্জিলিং ও সিকিম যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। কালিম্পংয়ে জেলাশাসক বালাসুব্রামনিয়াম বলেন, "এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের ঘুরপথে নিরাপদ রাস্তা দিয়ে যাতায়াতেরর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। বাংলা-সিকিম সীমানা রংপো-শিলিগুড়ির মধ্যে সমস্ত গাড়িকে কার্যত আলগাড়া, লাভা, গরুবাথান হয়ে চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রবল বর্ষণের জেরে জাতীয় সড়কের কয়েকটি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।" কিন্তু, সকলেই বুঝেছেন, ঘুরিয়ে বলা হচ্ছে, পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পর্যটকদের না আসাই ভালো। ফলে, এই বিপর্যয়ের কারণে পর্যটকরা মুখ ফেরাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বিজেপির ওপর আস্থায় গোঁসা, শহরের বরাদ্দ বন্ধ করলেন উদয়ন!
কী বলছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা?
ট্যুর অপারেটরদের বক্তব্য, সিকিম (Sikkim), কালিম্পং ও দার্জিলিং (Darjeeling) প্যাকেজ করেই পর্যটকরা আসেন। শিলিগুড়ি দিয়ে শুধু দার্জিলিং, কালিম্পং কেউ যেতে চাইবেন না। সেই রাস্তাতেও বিপদের ঝুঁকি রয়েছে। তাই পর্যটকরা ঝুঁকি নিয়ে আসতে চাইছেন না। কালিম্পং হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিদ্ধান্ত সুদ বলেন, পর্যটন মরশুম শুরুর মুখেই দিনের পর দিন জাতীয় সড়ক বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার থেকে সেই রাস্তা আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে এখানকার পর্যটনে। গত অক্টোবরে সাউথ লোনাক লেক বিপর্যয়ের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়কটি। বারবার রাস্তা বন্ধ রেখে তাহলে কী কাজ হয়েছে। ফের উত্তর সিকিম বিপন্ন হয়ে পড়ার প্রভাব এই অঞ্চলের পর্যটনেও পড়বে।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা কঠিন
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যালের মতে, এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কাঠামো দাঁড়িয়ে রয়েছে পর্যটনের ওপর। সেই পর্যটনই উপেক্ষিত। তাই, পাহাড়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলেই এখানকার ট্যুরিস্ট সার্কিট লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে বারবার। এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা কঠিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours