মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটতেই ফের দলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মু্র্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এতদিন ভোটের আগে ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। এবার তাঁর আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছেন রেজিনগরের বিধায়ক তথা জেলার চেয়ারম্যান রবিউল আলম চৌধুরী। হুমায়ুনের বক্তব্য সামনে আসতেই তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
চায়ের পয়সাটুকু কর্মীদের দেননি (Murshidabad)
এমনিতেই বহরমপুর (Murshidabad) লোকসভায় ইউসুফ পাঠান প্রার্থী হতেই দলের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন হুমায়ুন। প্রার্থীর হয়ে খাটবেন না বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। যদিও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ তাঁর মুখ বন্ধ করা সম্ভব হয়। এরপর ভোটপর্বে 'লক্ষ্মীছেলে' হয়েই থেকেছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। দল বিড়ম্বনায় পরে, এমন কোনও কথা তাঁর মুখে অন্তত ভোটপর্বে শোনা যায়নি। তবে, ভোট মিটতেই আবারও দলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন হুমায়ুন। হুমায়ুন বলেন, "ইউসুফকে জেতাতে আমাকে অনেক বাধা বিপত্তি পার করতে হয়েছে। জেলার সভাপতি বা জেলার যে নেতাদের হাতে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব ছিল, তাঁরা আমার এলাকায় প্রচারে পর্যন্ত আসতে দেননি ইউসুফকে। একদিন আনা হয়, তাও ভরদুপুরে। আমার যে বিধায়ক, যিনি দলের চেয়ারম্যান হয়ে বসে আছেন, তিনি পর্যন্ত আমাদের মতো লোককে একদিনও বলেননি ইউসুফ পাঠানের হয়ে ভোটটা করতে হবে। এমনকী একদিন আসা বা কোনওভাবে সহযোগিতা করা, চায়ের পয়সাটুকু কর্মীদের দেননি। আমি নিজে যতটুকু পেরেছি, কর্মীদের পাশে থেকে তাঁদের সহযোগিতা করে কাজ করেছি।"
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে ডাকাতি-ছিনতাই, চলল গুলি, এবারও টার্গেট সেই সেনকো গোল্ড, আতঙ্ক
দলে প্রচুর প্রতিদ্বন্দ্বী আমার!
হুমায়ুন আরও বলেন, "আমি অনেক পোড় খাওয়া রাজনীতির লোক। তাই মেনে নিয়েছি। ২০১২ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে স্নেহ করেন, বকাঝকাও করেন। তবে, আমি মনে করি শাসন করার অধিকার তারই থাকে যিনি স্নেহও করেন। দলের মধ্যেও আমার প্রচুর প্রতিদ্বন্দ্বী আছে। তাঁরা চান না হুমায়ুন কবীর সম্মান নিয়ে দলে থাকুন। আমার ভোট করতে গিয়ে যেটা মনে হয়েছে, সেটাই বললাম।"
+ There are no comments
Add yours