Diabetes Diet: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রোগীদের এই খাবারগুলি গ্রহন করা উচিত

পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, দৈনিক খাবারে ২০ থেকে ৯০ গ্রামের মধ্যেই কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ উচিত...
qu16ovro_low-carb_625x300_05_March_20
qu16ovro_low-carb_625x300_05_March_20

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং জটিল রোগ। কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রার সুস্থ পরিসর বজায় রাখলে এই রোগ সংক্রান্ত জটিলতার ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখার জন্য শরীর চর্চা, পরিমাণ মতো জল খাওয়া, ঘুমের স্বাস্থ্যবিধি সহ সামগ্রিক জীবনযাত্রার দিকে যত্ন রাখার পাশাপাশি খাদ্যাভাসের দিকটিও নজর রাখতে হবে। গবেষনায় জানা গিয়েছে কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কার্যকর। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, দৈনিক খাবারে ২০ থেকে ৯০ গ্রামের মধ্যেই কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ উচিত। তবে কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়া মানে এই নয় যে, কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার বন্ধ করে দেওয়া।কার্বোহাইড্রেটযুক্ত কিছু খাবারে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার থাকে যা একটি সুষম খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে শিশুদের জন্য কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত ডায়েটের পরামর্শ দেওয়া উচিত নয় কারণ তা তাদের বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাদ্য কেন উপকারী?

১৯২১ সালেও ইনসুলিন আবিস্কারের আগে ডাক্তাররা কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাদ্যগ্রহণের সুপারিশ করত। কিন্তু বর্তমানে অনেকেই কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাদ্য গ্রহণকে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব বলে মনে করেন। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা অন্তত তিন বছর কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করলে এর ভালো ফল পাবেন বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

তবে টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা খুব কম দিনেই এর রেজাল্ট দেখতে পারে। 

কম হাইড্রেটযুক্ত কি কি খাবার খাওয়া প্রয়োজন?

  • সকালে উঠে- সারারাত ধরে জলে মেথি ভিজিয়ে রাখুন। সকালে জলটা ছেঁকে খেয়ে ফেলুন।
  • জলখাবার- ডিমের সাদা অংশ ,সব্জি দিয়ে ডিমভাজা, সরতোলা ঠান্ডা দুধের কফি এবং দুটো আখরোট।
  • দুপুরের খাবার- বেসন ও লাল আটা মিশিয়ে বানানো রুটি, তার সঙ্গে ডাল, শাক, দই আর সবুজ স্যালাড।
  • রাতের খাবার- পনির টিক্কা ও চিনি ছাড়া তাজা লেবুর শরবৎ।

যে খাবারগুলি রোগীদের এড়িয়ে চলা উচিত

যে সব খাবারে প্রচুর পরিমানে কার্বোহাইড্রেট থাকে সেই সব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

  1. পাঁউরুটি, পাস্তা, ভুট্টা এবং অন্যান্য শস্যজাত খাবার।
  2. শ্বেতসারযুক্ত সব্জি যেমন আলু, রাঙালু, ওল, কচু
  3. মটর, ডাল, বীনের মত সব্জি ( সবুজ বীন আর মটরশুঁটি ছাড়া)
  4. দুধ
  5. সোডা মিশ্রিত শরবৎ বা চিনি দেওয়া চা।
  6. বিয়ার এবং অন্যান্য অ্যালকোহলজাত পানীয়
  7. মিষ্টি বা আইস ক্রিম

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 
 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles