Barasat Housing: প্রতিশ্রুতির পরেও ঘর মেলেনি ইন্দিরা কলোনির আবাসিকদের! ভোট বয়কটের ডাক

রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে 'শহর আবাসন জনপ্রকল্প'-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী
Barasat_Housing
Barasat_Housing

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসত পৌরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দিরা কলোনিতে দীর্ঘ ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করে আসছেন প্রায় ২৬০টি পরিবার। এঁরা সকলেই ১৯৭১ সালে ওপার বাংলা থেকে চলে আসেন এপারে। এপারে এসে কোনওরকমে বসবাস শুরু করেন বারাসত শহরের ইন্দিরা কলোনিতে। সকলেই দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করেন৷ সেখানে নিজেদের ক্ষমতায় পাকা বাড়ি তৈরি অনেকটাই স্বপ্নের মতো দিন আনা দিন খাওয়া এই মানুষগুলোর কাছে। কয়েক বছর ধরেই এই কলোনিতে পাকা ঘরের দাবি ছিল পরিবারগুলির। বাসিন্দাদের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে এসেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি এই কলোনিতে রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে 'শহর আবাসন জনপ্রকল্প'-এর (Barasat Housing) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তিনি। তখনই ঠিক হয়, কলোনির ২.৪ একর জমিতে চারতলা আবাসন গড়ে তোলা হবে। প্রকল্পটি তৈরি করবে রাজ্য সরকারের পৌর দফতরের আওতাধীন কেএমডিএ। কিন্তু এই শিলান্যাসের পর এক বছর কেটে গেলেও এখনও গড়ে ওঠেনি আবাসন। তাই এবার ওই বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে ভোট বয়কটের ডাক দিলেন।

উন্নয়নের নামে ছিনিমিনি খেলা, তোপ বিরোধী দলের

বস্তিবাসীদের এই (Barasat Housing) অভিযোগে কার্যত সহমত প্রকাশ করেন বারাসত পৌরসভার বিরোধী দলনেতা ও পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর বরুণ ভট্টাচার্য। এই বিষয়ে তিনি বলেন, "এটা নতুন কিছু নয়। উন্নয়নের নামে মানুষের সঙ্গে ছিনিমিনি খেলে আসছে শাসকদল। বারাসত শহরের যাবতীয় উন্নয়ন যা হয়েছে, তা বিগত বাম পৌরবোর্ডের আমলেই হয়েছে। তৃণমূল পৌরবোর্ড আসার পরে এখনও কিছুই করতে পারেনি। ক্ষমতায় এসে শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েই ভোট বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করেছে শাসক দল। মানুষ ওদের এই ভাঁওতাবাজি এখন ধরে ফেলেছে।

প্রকল্প হবেই, আশ্বাস তৃণমূল নেতার

যদিও বিরোধীদের এই অভিযোগকে একপ্রকার উড়িয়ে দিয়েছেন পৌর পারিষদ তথা বারাসত শহর তৃণমূলের সভাপতি অরুণ ভৌমিক। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এটি একটি বড় প্রজেক্ট। যে কোনও প্রজেক্টের কাজ শুরু হওয়ার আগে অনেকগুলো ধাপ থাকে। জমি, আর্থিক বরাদ্দ, ভেটিং-সহ নানা বিষয় ৷ জমিজটের বিষয়টি আপাতত কেটে গিয়েছে। প্রকল্পের ভেটিং-ও যাদবপুর ইউনিভার্সিটি-কে দেওয়া হয়ে গিয়েছে। আশা করছি, ভেটিং হয়ে গেলেই আবাসন প্রকল্পের কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হয়ে যাবে। হয়তো দেরি হচ্ছে বলেই সেখানকার বস্তিবাসীরা একটু অধৈর্য হয়ে পড়েছে। প্রকল্প হবেই। আটকে থাকার কোনও ব্যাপার নেই। এই আবাসনের জন্য ইতিমধ্যেই বরাদ্দও হয়ে গিয়েছে ১৬ কোটি ২৯ লাখ ৬২ হাজার ১৭১ টাকা। তবে, ইন্দিরা কলোনির যে জমির ওপর আবাসন প্রকল্পটি (Barasat Housing) গড়ে ওঠার কথা, সেই জমিটি শিক্ষা দফতরের হাতে থাকায় তা নিয়ে প্রথমে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। পরে অবশ্য আলোচনার মাধ্যমে সেই জটিলতা কেটে যেতেই জমি হস্তান্তর করা হয় পৌরসভার হাতে। তবে এবার দেখার বিষয়, কত দিনে ওই ইন্দিরা কলোনির আবাসনের বাসিন্দাদের স্বপ্ন পূরণ হয়।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles