মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গিতে মৃত্যুমিছিল। ফের কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ১৭ বছরের কিশোরের। ২০ তারিখ শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বাসিন্দা ওই কিশোরকে। পরে নিয়ে আসা হয় মিন্টো পার্কের (Minto Park) এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। ডেথ সার্টিফিকেটে মাল্টি অর্গান ফেলিওর, সেপসিস ও ডেঙ্গি হেমারেজিক ফিভারের উল্লেখ রয়েছে। সল্টলেকের দত্তাবাদেও ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ৫২ বছরের গৃহবধূর। এই নিয়ে সল্টলেকে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর কত মৃত্যু? আর কত প্রাণহানি? ডেঙ্গির ভয়াবহ প্রকোপে (Dengue Scare) আর কত সহনাগরিকদের হারাতে হবে আমাদের? প্রশ্ন রাজ্যবাসীর।
কী বলছে পরিসংখ্যান
কার্যত পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। জেলায় মোট আক্রান্ত ৮ হাজার ৪০২ জন। গ্রামাঞ্চলে সংখ্যাটা ২ হাজার ৯৫৬। আর শহরাঞ্চলে ৫ হাজার ৪৪৬ জন আক্রান্ত। এক সপ্তাহে ১ হাজার ৫৮৬ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ২ দিন আগেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন, রাজারহাট নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্য়ায় (Tapas Chatterjee)। বিধাননগর পুরসভা সূত্রে খবর, পুর এলাকায়, এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৯০০ জন। ডেঙ্গি ভয়াবহ চেহারা নেওয়ার পর, টনক নড়েছে পুরসভার। করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডে জমা জলে, ছড়ানো হচ্ছে ব্লিচিং পাওডার, মশা মারার তেল। চিন্তা আর উদ্বেগের প্রহর কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষের। বিধাননগরবাসীর কথায়, বিধায়ক ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার পর টনক নড়েছে প্রশাসনের।
আরও পড়ুন: মালদা জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, চিহ্নিত হটস্পট জোন, নামানো হল ড্রোন
দোসর ম্যালেরিয়া
রাজ্যে প্রায় প্রতি দিনই এক বা একাধিক মৃত্যু হচ্ছে। তার মধ্যেই দোসর ম্যালেরিয়া। ফলে চিন্তা আরও বাড়ছে। এরই মধ্যে সরকার তথ্য চাপা দিতে চাইছে। রাজ্যে গত জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে মোট আক্রান্ত এবং মৃত্যু কত, সে বিষয়ে কোনও পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে দিতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতর। যদিও বেসরকারি সূত্রের খবর, রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার। মৃত ৪৫ জন। আর, ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত প্রায় তিন হাজারের কাছাকাছি। মৃতের সংখ্যা চার। চিকিৎসকদের একাংশ বলছেন, “কোভিডের সময়েও এমন কোমর্বিডিটির কথা বলে মৃত্যু গোপনের চেষ্টা চলেছিল। মশাবাহিত রোগের ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এটা খুবই স্বাভাবিক, যে কোনও সংক্রমণেই পুরনো রোগ মাথা চাড়া দেয়। তার জন্য সংক্রমণকে অস্বীকার করা যায় না।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours