Delhi Murder: দিল্লি হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়, প্রেমিকের কাছ থেকে উদ্ধার প্রেমিকার ফোন

লিভ-ইন সঙ্গিনীকে খুন করে দেহ টুকরো-টুকরো করে ধাবার ফ্রিজের মধ্যে রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ধাবার মালিক প্রেমিকের বিরুদ্ধে।
Delhi_Murder
Delhi_Murder

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিক্কি যাদব খুনের এবার বড় প্রমাণ এল তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে। অভিযুক্ত প্রেমিক সাহিল গেহলটের কাছ থেকে নিক্কির ফোন উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Murder)। দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "নিক্কির ফোনের পাসওয়ার্ডও জানে সাহিল। আশা করা হচ্ছে, ফোনের ভিতরে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে, যা আমাদের তদন্তে কাজে লাগবে।"

তবে পুলিশ আশঙ্কা করছে, প্রেমিকাকে খুন করার পর তাঁর ফোন থেকে অনেক তথ্য মুছে দিয়েছেন সাহিল। সাহিলের ফোন আগেই বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। আপাতত ওই দু’টি ফোনই ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে। দুটি ফোনেরই তথ্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

কী জানা গিয়েছে?   

দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ডের পর আরও এক খুনের (Delhi Murder) ভয়ঙ্কতায় শিউড়ে উঠেছে গোটা দেশ। লিভ-ইন সঙ্গিনীকে খুন করে দেহ টুকরো-টুকরো করে ধাবার ফ্রিজের মধ্যে রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ধাবার মালিক প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এবারও ঘটনাস্থল সেই দিল্লি। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ভালোবাসার দিন, ১৪ ফেব্রুয়ারিতেই। নিষ্ঠুরতা এখানেই শেষ নয়। লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে দেহ টুকরো-টুকরো করে ফ্রিজে রেখে অন্য এক মহিলাকে বিয়েও করেন যুবক। এত কিছু করেও শেষ রক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার ওই প্রেমিককে গ্রেফতার  করে দিল্লি পুলিশ।

তদন্তকারী অফিসারদের ধারণা, যেহেতু সেদিনই বিয়ে ছিল সাহিলের এবং গোটা ঘটনাটিই (Delhi Murder) ঘটেছে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, তাই বেশ তাড়াহুড়ো করে পরিকল্পনা ছাড়া খুন করে সাহিল। জানা গিয়েছে, নিজের বিয়ের দিন কিছু দরকারি কাজ রয়েছে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। তারপরে লিভ-ইন সঙ্গী নিক্কি যাদবকে ডেকে, গাড়ি করে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে নিয়ে গিয়ে ফোনের চার্জারের কেবল গলায় পেঁচিয়ে খুন করে। ২২ বছরের নিকিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে, তাঁর দেহ টুকরো-টুকরো করে এক ধাবার ফ্রিজে সংরক্ষিত করে রাখেন ওই যুবক। ধাবাটি দিল্লি সীমান্তের বাইরে মিত্রাও গ্রামে। 

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সাহিল এবং হরিয়ানার ঝর্জ্ঝরের বাসিন্দা (Delhi Murder) নিক্কির মধ্যে বহুদিনের সম্পর্ক। ২০১৮ সালে উত্তমনগর এলাকায় একটি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় থেকেই তাঁরা একসঙ্গে থাকতেন। গ্রেটার নয়ডায় একই কলেজে পড়াশোনা করতেন তাঁরা। কলেজের পাশেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে লিভইন করতেন তাঁরা। করোনার লকডাউনে তাঁরা নিজেদের বাড়ি ফিরে গেলেও লকডাউন উঠে গেলে ফের একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। তখন দ্বারকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকা শুরু করেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: এখনই বেতন ফেরাতে হচ্ছে না গ্রুপ ডি কর্মীদের, স্থগিতাদেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে

সাহিল কখনও বাড়িতে নিক্কির কথা জানাননি। ফলে সাহিলের পরিবার তাঁর অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ছিল বিয়ে। সাহিলের বিয়ের ঠিক আগের দিন গত ৯ ফেব্রুয়ারি জানতে পারেন নিক্কি। মেনে নিতে পারেননি তিনি। ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে সাহিলের সঙ্গে এই বিষয়ে তাঁর ঝামেলা হয়। সেই রাতে কাশ্মীরি গেটের কাছে একটি বাড়িতে ছিলেন তাঁরা।

নিক্কিকে খুন করার পর ঘটনাটি (Delhi Murder) গোপন করতে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে ওই ধাবার ফ্রিজে রেখে দেয় সাহিল। তারপর ঠাণ্ডা মাথায় পরিবারের পছন্দ করা মেয়েকে বিয়েও করেন। মঙ্গলবার ভ্যালেন্টাইন ডে-তেই তার কুকীর্তি প্রকাশ্যে আসে এবং সাহিলকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

 
 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles