মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের পর ভোট আসে, আসেন নেতারাও। তারপর ভোট যায়, আর দেখা পাওয়া যায় না তাঁদের। বছরের পর বছর সেই আঁধারেই থেকে যান সীমান্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা। কাঁটাতারে আটকে গিয়েছে তাঁদের স্বাধীনতাও। ভারতীয় ভূখণ্ডে বাস করেও ভারতীয় হওয়ার স্বাদ নিতে পারেন না তাঁরা। সমস্যার সুরাহা হওয়ার প্রতিশ্রুতি মেলে, কিন্তু সুরাহা মেলে না বলেই আক্ষেপ স্থানীয় বাসিন্দাদের। আবারও ভোট আসছে। প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আশ্বাস দিচ্ছেন। তবে এবার আর নিছক আশ্বস্ত হয়ে থামতে চান না তাঁরা। সীমান্তবর্তী এই এলাকার সমস্যার পুরোপুরি সমাধান চাইছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানা এলাকার ওই সব গ্রামের বাসিন্দারা। দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার তিন দিকে রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত। দৈর্ঘ্যে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার সেই সীমান্ত। তার মধ্যে এখনও ৩০ কিলোমিটার এলাকায় নেই কাঁটাতার। আর অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানা এলাকাতেই বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে, যা কাঁটাতারের ওপারে। ভারতীয় হলেও গ্রামগুলির বাসিন্দারা দিনের পর দিন এক অদ্ভূত সঙ্কটে কাটাচ্ছেন। ফলে ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হলেও এখনও স্বাধীনতার স্বাদ অধরা তাঁদের কাছে।
কী অভিযোগ গ্রামবাসীদের (Dakshin Dinajpur)?
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সীমান্তে ওই এলাকায় বাস করার কারণে তাঁরা সাধারণ ভারতীয়ের মতো সুযোগ পান না। বঞ্চিত হন অনেক সুবিধা থেকেও। স্বাধীনভাবে চলাচল করার সুযোগ পর্যন্ত তাঁদের নেই। গ্রামবাসীরা (Dakshin Dinajpur) জানান, বিএসএফ-এর তল্লাশির সময় তাঁদের হয়রানির মুখে পড়তে হয়। পানীয় জল বা রাস্তা, সব ক্ষেত্রে বেহাল অবস্থা। সরকারি প্রকল্পের সুযোগসুবিধা ঠিকমতো মেলে না বলেও অভিযোগ। বিশেষত পড়ুয়াদের অবস্থা আরও খারাপ। একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর গ্রামে প্রবেশ করতেও তাঁদের বাধা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এ নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ।
কী বলছেন বিজেপি এবং তৃণমূল নেতৃত্ব (Dakshin Dinajpur)?
বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু এই প্রসঙ্গে বলেন, সীমান্ত (Dakshin Dinajpur) এলাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম আছে, যেগুলো সবাইকেই মেনে চলতে হয়। তিনি জানিয়েছেন, সীমান্তে নতুন করে কাঁটাতার দেওয়া হবে, আর সেগুলি থাকবে গ্রামগুলির পিছন দিয়ে। তাহলে সমস্যা মিটবে বলেই মনে করেন তিনি। তবে তৃণমূলের দাবি, ভোটের সময় নয়, সারা বছরই খোঁজখবর করা হয়। হিলির তৃণমূল ব্লক সভাপতি মিহির সরকার বলেন, “ভোটের আগে এবং পরে আমরা নিয়মিত যাই গ্রামে। এবার গ্রামকে বাঁচিয়ে নতুন করে কাঁটাতারের বেড়া তৈরি হবে। তবে সীমান্তের বিষয়টি মূলত কেন্দ্রের অধীন। সেখানে রাজ্যের কিছু করার থাকে না।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours