মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি বিডিও অফিস থেকে সোজা এগিয়ে গেলে ঋষি অরবিন্দ মিশন পাড়া। রাস্তার পাশে মাঠের আগের নাম ছিল ঋষি অরবিন্দ ময়দান। সেই নামও রাতারাতি বদলে যায়। সৌজন্যে শাহজাহান বাহিনীর হাত যশ। বদলে ফেলা হয় ঋষি অরবিন্দ ময়দানের নামও। দেওয়া হয় 'শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব।' মাঠ ঢোকার মুখে গেটে লেখা রয়েছে, শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ফ্যান ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২২। আর এই বিষয়টি সামনে আসতেই শাহজাহান বাহিনীর এলাকায় কী তাণ্ডব চালাত তা আরও একবার সামনে চলে এসেছে।
কীভাবে শাহজাহান বাহিনী দখল করল মাঠ? (Sheikh Shahjahan)
বিঘার পর বিঘা জমি দখল করে সেখানে ভেড়ি তৈরি করত শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ও তাঁর বাহনীর সদস্যরা। জমি লিজে নেওয়ার কথা বলে সেই জমি হাতিয়ে নিত শাহজাহানের দলবল। লিজের টাকা চাইতে গেলে জুটত মার। এমনকী বাড়ির সুন্দরী বউদের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতনের ঘটনা সামনে এসেছে। এবার খেলার মাঠও গিলে খেয়ে নিয়েছিল শাহজাহান বাহিনী। বাসিন্দাদের বক্তব্য, ঋষি অরবিন্দ ময়দানে জমিতেই এক সময় কলেজ হওয়ার কথা ছিল। তা আর হয়নি। মাঠের চারপাশে প্রচুর গাছ ছিল, ছেলেরা খেলত। গোরু-ছাগলও চরত। বর্ষার সময় ওই মাঠ আমাদের বড় ভরসা ছিল। বছর তিনেক আগে আচমকা শাহজাহানের অন্যতম সাগরেদ শিবু হাজরার দলবল সব গাছ কেটে নিল, জানাল স্টেডিয়াম হবে। কোথায় স্টেডিয়াম! শুরু হল, শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্ট। উদ্বোধনে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বিধায়ক নির্মল ঘোষ এসেছিলেন। এতদিন ওই মাঠ ওদের দখলে ছিল।
মাঠে ঢুকলেই দিতে হত জরিমানা!
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মাঠ দখল করে নাম পরিবর্তন করায় আমরা সবাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলাম। কিন্তু, ওদের বিরুদ্ধে কথা বলার কারও সাহস ছিল না। নিজেরা মাঠের জমি দখল করে যা খুশি করত। আর ওই মাঠে কেউ খেলতে যায় না। আর মাঠে গরু, ছাগল ঢুকলে জরিমানা ধার্য করেছিল শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) বাহিনী। দিতে হত ৩০০-৪০০ টাকা জরিমানা। সেই স্বঘোষিত দাপুটে তৃণমূল নেতারা কেউ জেলে, কেউ ফেরার হতেই, এখন নির্বিঘ্নে ওই মাঠেই চরছে গোরু-ছাগল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours