মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির পর এবার ভূপতিনগর। ইডির পরে এবার এনআইএ। আবারও (CV Ananda Bose) তদন্ত করতে গিয়ে আক্রান্ত সরকারি সংস্থার আধিকারিকরা। ঘটনাচক্রে, দুটি ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় তৃণমূল। সন্দেশখালিকাণ্ডে অবশ্য মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হতেই তাকে ঝেড়ে ফেলতে বহিষ্কার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল। ভূপতিনগরে অবশ্য এখনও সেরকম কিছুই হয়নি। ভূপতিনগরের ঘটনার প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার তিনি বলেন, “এ ধরনের গুন্ডামি চলতে দেওয়া উচিত নয়...বিষয়টিকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে।”
এনআইএর ওপর হামলা (CV Ananda Bose)
ঘটনার সূত্রপাত এদিন কাকভোরে। ভূপতিনগরে বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত বলাই মাইতি ও মনোব্রত জানা নামে দুই তৃণমূল নেতাকে আটক করতে গিয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। অভিযোগ, সেই সময় গ্রামবাসীদের একাংশ এনআইএর আধিকারিকদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। তাঁদের গাড়ি ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, “এনআইএ অফিসারদের ওপর আক্রমণ একটি খুবই গুরুতর বিষয়। তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা মোটেই কোনও কৃতিত্বের বিযয় নয়।” তিনি (CV Ananda Bose) বলেন, “বিষয়টিকে লোহার মতো শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে। এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর পরিস্থিতি। সম্পূর্ণ গুরুত্ব সহকারে এর মোকাবিলা করতে হবে।” রাজ্যপালের সাফ কথা, “এ ধরনের গুন্ডামি চলতে দেওয়া উচিত নয়। পেশি শক্তির আইনি ক্ষমতা প্রতিস্থাপন করা উচিত নয়।”
এনআইএর দাবি
প্রাথমিক তদন্তের পর এনআইএর দাবি, ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে এই দুই তৃণমূল নেতাই মূল চক্রী। এনআইএর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বোমা তৈরির ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলাই ও মনোব্রত। এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতেই ঘটানো হয়েছিল বিস্ফোরণ। সূত্রের খবর, এদিন এলাকার পাঁচটি জায়গায় হানা দিয়ে আটক করা হয় এই দুজনকে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে নাড়ুয়াবিল্লার বাসিন্দা রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় মৃত্যু হয় তিনজনের। ৩ ডিসেম্বর এফআইআর দায়ের করে রাজ্য পুলিশ। পরে এনআইএ তদন্তের দাবিতে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। গত ৪ জুন তদন্তভার নেয় (CV Ananda Bose) এনআইএ।
আরও পড়ুুন: হিন্দু-বিরোধী প্রচার করছে মুসলমান বনে যাওয়া বামুনের ছেলে!
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Telegram, Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours