মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা দল মাঠে তখনও উৎসবে ব্যস্ত। রোনাল্ডো একা মাঠ ছাড়ছেন। সুইৎজারল্যান্ডকে হারিয়ে শেষ আটে পর্তুগাল। ম্যাচের পর সতীর্থরা যখন দর্শকাসনের কাছে গিয়ে সমর্থকদের অভিবাদন জানাচ্ছিলেন, তখন রোনাল্ডো একা একা হেঁটে সাজঘরে ঢুকে যান। এ ছবি যেন ব্যতিক্রম। কোচ–সতীর্থদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি, শেষমেশ দল থেকেই বাদ। কিন্তু এতেও শেষ নয়। যে পর্তুগালকে বছরের পর বছর আগলেছেন, এহেন রোনাল্ডো গলার কাঁটা হয়ে উঠেছেন। সুইসদের বিরুদ্ধে বড় জয়ের পরেরদিন কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস প্রথম একাদশের বাইরে থাকা ফুটবলারদের একটি প্র্যাকটিস সেশন রেখেছিলেন এবং প্রথম একাদশের ফুটবলারদের জন্য হালকা জিম সেশন। জানা গিয়েছে, রোনাল্ডো প্র্যাকটিসে যোগ দিতে অস্বীকার করেন। অংশ নেন জিম সেশনে। তাতে পর্তুগাল শিবির নাকি রীতিমতো অবাক। মরক্কোর বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে নামার আগে স্বস্তিতে নেই পর্তুগীজরা।
কী বললেন রোনাল্ডো
ক্ষোভ থাকলেও ম্যাচ জিতে ইনস্টাগ্রামে রোনাল্ডো লেখেন, “পর্তুগালের জন্য একটা দারুণ দিন। বিশ্ব ফুটবলের সব থেকে বড় প্রতিযোগিতায় ঐতিহাসিক ফল। প্রতিভা এবং তারুণ্যের মিশেল দেখা গিয়েছে। যে দল নির্বাচন করা হয়েছিল, সেটাকে প্রশংসা করতেই হবে। স্বপ্নের দৌড় চলছে। শেষ পর্যন্ত চলবে।” তবে সূত্রের খবর, ম্যাচের পর রোনাল্ডো কোচকে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, তিনি খুশি নন। হুঁশিয়ারি দেন, পরের ম্যাচেও তাঁকে প্রথম একাদশে না রাখা হলে ব্যাগ গুছিয়ে কাতার থেকে দেশে ফিরে যাবেন।
আরও পড়ুন: দুরন্ত ফুটবল খেলে বিশ্বকাপের শেষ আটে পর্তুগাল, মরক্কো! টাইব্রেকারে হেরেই বিদায় স্পেনের
কী বললেন বান্ধবী ও বোন
রোনাল্ডো বিতর্কে তাঁর পরিবারের ঘৃতাহুতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। রোনাল্ডোর বান্ধবী জর্জিনা রড্রিগেজ ইনস্টাগ্রামে লিখলেন,“পর্তুগালকে অভিনন্দন। কিন্তু ১১ জন ফুটবলার যখন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে, সেই সময় একজনকেই খুঁজছিল সকলে। এটা লজ্জার যে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ফুটবলারের খেলা পুরো ৯০ মিনিট দেখতে পেল না কেউ। ভক্তরা তোমার জন্য চিৎকার করছিল। তারা দাবি জানাচ্ছিল তোমাকে দেখার। আশা করি ঈশ্বর এবং তোমার বন্ধু ফের্নান্দো এক হবে আর তোমাকে আবার খেলতে দেখব।” রোনাল্ডোর বোন আরও সুর চড়িয়ে লিখলেন,"ও বাড়ি ফিরে আসুক। আমরা বাড়িতে একসঙ্গে বসে খেলা দেখব। ওকে জড়িয়ে ধরে বলব, সব ঠিক আছে।"
+ There are no comments
Add yours