মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়াল সিপিএমের। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল এক সিপিএম কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চুঁচুড়া থানা এলাকায়। প্রতারিত পরিবারের লোকজন ওই সিপিএম কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম পার্থ মণ্ডল। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানা এলাকায়। পুলিশ জনিয়েছে, পার্থর কাছ থেকে একটি নিয়োগপত্র উদ্ধার হয়েছে। এই দুর্নীতির (Scam) সঙ্গে কারা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় আড়াই বছর আগে নন্দীগ্রামের সাঁইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা স্বপন দাসের প্রতিবেশী সুদীপ্ত হাজরার মাধ্যমে অমিত পায়রা নামে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয়। অমিত তাঁকে সরকারি চাকরি করে দেওয়ার টোপ দেন। বিনিময়ে টাকা দাবি করেন। স্বপনবাবু প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। অমিতের হাত ধরে দুর্নীতির (Scam) চক্করে পড়ে যান তিনি। এরপর এই অমিতই পার্থ মণ্ডলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। স্বপনবাবু তাঁর ছেলে কৌশিক ও মেয়ে চামেলি দাসের চাকরির জন্য সারে এগারো লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন পার্থ মন্ডলকে। প্রথমে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরে এবং পরে, প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সবশেষে স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি করে দেওয়ার কথা বলেন। গত ১১ এপ্রিল পোস্ট অফিস মারফত একটি নিয়োগ পত্র পান স্বপন দাস। সেটি ছিল হুগলির জেলা হাসপাতালে গ্রুপ ডি পদের। সেই নিয়োগ পত্রের আসল কপি পার্থ নিজের কাছে রেখে একটি জেরক্স দিয়ে দেন স্বপন দাসকে। নিয়োগ পত্রে সরকারি সিল মারা ছিল, বিশ্ব বাংলার সরকারি লোগো ছিল। আসল নিয়োগপত্রের জন্য আরও দেড় লক্ষ টাকা পার্থ দাবি করেন। ১৩ এপ্রিল স্বপনবাবু চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে আসেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়োগ পত্র দেখে জানিয়ে দেয়, সেটি ভুয়ো। এরপরই চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তদন্তে নেমে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
কী বললেন প্রতারিত ব্যক্তি
স্বপনবাবু বলেন, আমি কলকাতায় বেকারিতে কাজ করি। জমি বিক্রি করে, ধারদেনা করে টাকা দিয়েছিলাম। টাকা দেওয়ার পর চাকরি না হওয়ায় অমিতকে ফোন করলে সে আর ফোন ধরে না। পরে, মোবাইল নম্বরই সে পাল্টে নেয়। হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি, প্রতারিত হয়েছি। এরপর পার্থ মণ্ডলকে ফোন করি। তিনি দেড় লক্ষ টাকা না দিলে চাকরিতে যোগ দিতে পারবে না বলে জানায়। আমি তাঁকে জানাই, আমি চুঁচুড়ায় আছি, টাকা নিতে হলে সেখানেই আসতে হবে। সেখানে টাকা নিতে এসে পুলিশের জালে ধরা পরেন পার্থ। শুক্রবার আদালতে যাওয়ার পথে ধৃত পার্থ মণ্ডলের দাবি, তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours