মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছু দিন আগেই চিনের মঙ্গোলিয়ায় করোনা ভাইরাসের নতুন একটি প্রজাতির খোঁজ মিলেছে। চিকিৎসকদের মতে, ওমিক্রনের বিএ.৫.১.৭ (Omicron BA 5.1.7) এবং বিএফ.৭ প্রজাতির ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় অনেক গুণ বেশি। তাই করোনা টিকা নেওয়ার পর বা এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে, তা নতুন এই প্রজাতিটিকে ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই ‘ওমিক্রন স্পন’ বা বিএ.৫.১.৭ এবং বিএফ.৭ নামক একটি নতুন প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই চিনের বেশ কিছু জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি এবং ফ্রান্সের ক্ষেত্রেও সংক্রমণের হার বেশ দ্রুত। দেশের মধ্যে গুজরাতেও এক জনের দেহে এই প্রজাতিটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
অত্যধিক সংক্রমণযোগ্য নতুন এই বিএফ.৭ নামক ওমিক্রন ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বুকে ব্যাথা থেকে শুরু করে ঘ্রাণ ও শ্রবণে অসুবিধে দেখা যায়।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অভিযোজনের ফলে সৃষ্টি হওয়া এই নতুন প্রজাতির ওমিক্রন ভাইরাসটি মানব দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দিতে এবং উপস্থিত অ্যান্টিবডিকে টেক্কা দিতে সিদ্ধহস্ত।
সবচেয়ে নতুন এই বিএফ.৭ নামক ওমিক্রন ভাইরাসের লক্ষণগুলি কী কী?
এখন পর্যন্ত, বিশ্বব্যাপী রিপোর্ট করা বিএফ.৭ সাবভেরিয়েন্টের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- একটানা কাশি
- শুনতে অসুবিধা হওয়া
- বুক ব্যাথা
- কাঁপুনি দিয়ে জ্বর
- ঘ্রাণশক্তির পরিবর্তন
উৎসবের মরসুমে সংক্রমণ বাড়বে কি?
করোনার বিধি-নিষেধে ছাড় এবং মানুষের লাগামছাড়া মনোভাব, নতুন করে সংক্রমণের ভয় উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। চিকিৎসকরা আরও এক বার মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, সংখ্যাটি এক হলেও নতুন প্রজাতিটি কিন্তু দেশে ঢুকে পড়েছে। তার উপর শীতকাল আসছে। এটি এমনিই ফ্লুয়ের সময়। তাই অতিরিক্ত সাবধানতা থাকতেই হবে। করোনা পরিস্থিতি বাড়লেও একটি সময় পর তা আবার আগের পর্যায়ে ফিরে আসবে। তাই সব কিছু বন্ধ করে ঘরে বসে থাকা কোনও সমাধান হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে সচেতনতা গড়ে তোলাই একমাত্র হাতিয়ার বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
+ There are no comments
Add yours