মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপের ক্লোন অ্যাপ তৈরী করে ব্যবহারকারীদের ব্যাক্তিগত চ্যাট এমনকি ভিডিও কল থেকে শুরু করে ভয়েস কলের মতো গোপনীয় তথ্য চুরি করছে হ্যাকাররা।সম্প্রতি সাইবার সিকিওরিটি ফার্ম ESET-এর তরফে এমনই সতর্কীকরণ বার্তা দেওয়া হয়েছে। সিকিওরিটি ফার্মটি জানাচ্ছে, বিগত চার মাস ধরে অ্যান্ড্রয়েডের স্পাইওয়্যার ডিটেকশনের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে এই জিবি হোয়াটসঅ্যাপ (GB WhatsApp) নামে এই অ্যাপটি। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই অ্যাপটি হোয়াটসঅ্যাপের ক্লোন করা থার্ড-পার্টি ভার্সন।
ওই সিকিওরিটি ফার্মের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ক্লোন করা অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে উপলভ্য নয়। তাই, বৈধ হোয়াটসঅ্যাপের তুলনায় সেখানে কোনও নিরাপত্তাও নেই। বিভিন্ন ডাউনলোড ওয়েবসাইটে উপলব্ধ সংস্করণগুলি ম্যালওয়্যার দ্বারা সংক্রামিত থাকে। হোয়াট্সঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই ক্লোন করা অ্যাপটির ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করছে তাঁরা কিন্তু ভবিষ্যতে পুনরায় এই অ্যাপটি ব্যবহার করার চেষ্টা করলে ওই অ্যাকাউন্ট গুলোকে পুরোপুরি ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
কীভাবে এই জিবি হোয়াটসঅ্যাপ নামে ক্লোন অ্যাপটি থেকে ম্যালওয়ার ছড়ায়
অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল স্টোরে উপলব্ধ (Available) না থাকায় সাধারণত বিভিন্ন বিভিন্ন ম্যালওয়ার (Malware) দ্বারা সংক্রামিত ওয়েবসাইট থেকেই এই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হয় তখনই হ্যান্ডসেটটি ম্যালওয়ারে আক্রান্ত হতে পারে। আবার অ্যাপটি ইনস্টল করার পরেও মোবাইলের ব্যাকগ্রাউন্ডে ম্যালওয়ারে আক্রান্ত হতে পারে।কিন্তু মোবাইল ব্যবহারকারী তা ঘূণাক্ষরেও টের পাবেন না।সবচেয়ে বড় কথা হল, এই ট্রোজ়ান ম্যালওয়ারটিকে পরক্ষণে লক্ষ্য করা যায় না। কারণ, ফোনে এটি কোনও ছাপ ফেলে যায় না। কোনও চিহ্নও থাকে না যার মাধ্যমে এর উপস্থিতির টের পাওয়া যাবে। এই ম্যালওয়ার আপনার ফোনের প্রাত্যহিক পারফরম্যান্সে কোনও প্রভাব ফেলে না, কিন্তু অ্যাপটি ব্যবহারকারীর অজ্ঞাতে ফোন থেকে গোপনে ডেটা চুরি করতে থাকে।
এই ধরনের ম্যালওয়ার থেকে কীভাবে রেহাই মিলবে
- এই ধরনের ম্যালওয়ার থেকে মুক্তি পাওয়ার সবথেকে বড় উপায় হল, ডিভাইসের ফুল ফ্যাক্টরি রিসেট (Full Reset) করা। এর অর্থ হল, ফোনের সব ডেটাকে মুছে ফেলতে হবে।
- হোয়াটসঅ্যাপের এই ধরনের মডিফায়েড ভার্সন কখনও ডাউনলোড করা উচিত নয়। একমাত্র যদি ডেভেলপার খোদ মডিফায়েড ভার্সন রিলিজ় করে, একমাত্র তখনই সেগুলির ব্যবহার করা উচিত।
- হোয়াটসঅ্যাপ সর্বদা গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোরের মতো বৈধ জায়গাগুলি থেকে ডাউনলোড করা উচিত সেক্ষেত্রে বিপদের সম্ভাবনা থাকবে না।
প্রসঙ্গত, ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৫০ কোটিরও বেশী। তাই ভারতের মতো দেশে বৃহৎ জনসংখ্যার ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি কিভাবে রুখবে তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনিক মহলে।
+ There are no comments
Add yours