মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জীবাশ্ম জ্বালানি বিষয়ে এখনই কোনও পদক্ষেপ না নিলে জলবায়ু (Climate Crisis) নিয়ে বিরাট সঙ্কট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছে একটি সমীক্ষা। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ টি দেশের বিজ্ঞানীরা সমীক্ষা করে একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, জৈব জ্বালানি বিষয়ে যদি পর্যায় ক্রমে এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ না করা যায়, তাহলে আগামী দিনে সঙ্কটাপন্ন জলবায়ুর বিপদ আরও ভয়াবহ হবে।
কী বলা হয়েছে প্রতিবেদনে (Climate Crisis)?
গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে প্রকাশিত ল্যানসেট কাউন্টডাউনের বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে জলবায়ু (Climate Crisis) ক্রমশ ক্রিয়াশীলতার জায়গা থেকে অনেকটাই দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে তাপমাত্রা জনিত কারণে মৃত্যু প্রায় ৫ গুণ বৃদ্ধি পাবে। ফলে বিশ্বজুড়ে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর এই জলবায়ু এবং মৃত্যুর মাত্রা নির্ভর করবে। গবেষণার প্রতিবেদনে লেখকেরা জানিয়েছেন, এই জীবাশ্মকে অপরিকল্পিত ভাবে জ্বালানোর কারণে স্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপক ঝুঁকির প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। আবার অনেক ব্যাঙ্ক, কোম্পানিগুলিকে অনেক সরকার এই জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে চলেছে। এটাও বিপজ্জনক!
কী বলেন সংস্থার নির্দেশক?
ল্যানসেট কাউন্টডাউনের নির্দেশক এবং বিশিষ্ট প্রধান লেখক মেরিনা রোমানেলো একটি সাক্ষাৎকার দিয়ে সিএনএনকে বলেছেন, "আমরা দেখতে পাচ্ছি যে বেসরকারি কোম্পানিগুলি তেল ও গ্যাস উৎপাদনের দিকে আর্থিক লাভের বিষয়ে বেশি নজর দিতে গিয়ে জলবায়ুর উপর খারাপ প্রভাব ফেলছে। অপরিকল্পিত ভাবে জীবাশ্ম জ্বালানি তেল এবং গ্যাস পোড়ানোর কারণে মানব স্বাস্থ্যে খারাপ প্রভাব ফেলতে চলেছে। ফলে বিশ্বউষ্ণায়ণ (Climate Crisis) একটি বড় বিপদ হয়ে দাঁড়াবে। তাই বিশ্ব যদি কেবল মাত্র জীবাশ্ম জ্বালানির উপর বেশি নির্ভরশীল থাকে, তাহলে কেবল মানব স্বাস্থ্যের জন্য নয়, অর্থনীতির জন্যও বড় বিপর্যয় আনতে পারে।"
তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে বিশ্বে
১৮০০ সালের শেষের দিকে শিল্প বিপ্লবের আগে থেকে বর্তমানে ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু যখন বিশ্ব, ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস অধিক উষ্ণতায় পৌঁছাবে, সেই সময় বিশ্বের দেশগুলি প্রবল তাপমাত্রার সংস্পর্শে আসবে। ফলে মানুষের কর্ম ক্ষমতার শ্রম ৫০ শতাংশ কমে যাবে। ফলে জলবায়ু সঙ্কটে (Climate Crisis) বিশ্ব আর্থিক ক্ষতি, জীবিকা সংস্থান এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাই সকলকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে ধরে রাখার বিষয় ভাবার কথা এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours