China: প্রবৃদ্ধির গতি রোধ করতে খনিজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা চিনের! জবাবে কী করল ভারত?

Indias Growth: ভারতের খনিজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা চিনের! উল্টে বেজিংয়ের মুখে ঝামা ঘষে দিল নয়াদিল্লি...
jcb_f
jcb_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অত্যাবশ্যক খনিজ ও যন্ত্রপাতি রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে চিন (China)। ভারতের শিল্প প্রবৃদ্ধির গতি (Indias Growth) রোধ করতেই চিন অত্যাবশ্যক খনিজ ও যন্ত্রপাতির রফতানিতে বিধিনিষেধ জারি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্যালিয়াম ও জার্মেনিয়ামের মতো খনিজ। এগুলি সৌরশক্তি ও সেমিকন্ডাক্টরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। টানেল-বোরিং মেশিন রফতানিতেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এই মেশিন মূলত ব্যবহৃত হয় মেট্রো নির্মাণের মতো পরিকাঠামো প্রকল্পে।

নয়া উপায় উদ্ভাবন (China)

তবে চিন ভারতের সাপ্লাই চেনকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করলেও, ভারতীয় আমদানিকারীরা একটি নয়া উপায় বের করে ফেলেছেন। দুবাইয়ের জেবেল আলি বন্দরের মাধ্যমে সরবরাহ করে ঝামা ঘষে দিয়েছে বেজিংয়ের মুখে। সচল রয়েছে সাপ্লাই লাইন। ২০২৩ সালের অগাস্টে চিন (China) গ্যালিয়াম ও জার্মেনিয়াম রফতানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য কেবলমাত্র ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মতো দেশগুলির ক্ষেত্রে।

ভায়া দুবাই আমদানি

মোদি জমানায় রকেট গতিতে এগোচ্ছে দেশ। এই প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ওই খনিজগুলি ভারতের দ্রুত বেড়ে ওঠা রিউনিউয়েবল এনার্জি বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি খাতের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত সৌর সেল ও মডিউল তৈরিতে। চিন ওই খনিজগুলির বিশ্বের বৃহত্তম সরবরাহকারী দেশ। এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদেরই সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে বেজিং। তার জেরে ভারতের সৌরশক্তি উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে অগ্রগতি যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয় তাই ভারতীয় আমদানিকারীরা এই খনিজ পদার্থ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দুবাইয়ের মাধ্যমে আমদানি করছে ভারতে।

জানা গিয়েছে, এখন ক্যাপিট্যাল গুডসগুলি প্রথমে আমদানি করা হয় দুবাইয়ে। সেখানে সেগুলি বিক্রি করা হয় ভারতীয় ব্যবসায়ী ও কোম্পানিগুলির কাছে। কখনও কখনও আবার লিজও দেওয়া হয়। ফলে সরাসরি এড়ানো যায় চিনের রফতানি নিষেধাজ্ঞা।

আরও পড়ুন: সিঁদুর সরিয়ে মহিলাদের কপালে ক্রস, বিহারে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ মিশনারি

সূত্রের খবর, দুবাই-ভিত্তিক ব্যবসায়ী বা কোম্পানিগুলি চিন থেকে যন্ত্রপাতি লিজে নেয় বা আমদানি করে। পরে সেগুলি রফতানি করে ভারতে। এই পদ্ধতি ভারতীয় কোম্পানিগুলিকে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সাহায্য করে। এতে অবশ্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইনও লঙ্ঘিত হয় না। এই পদ্ধতির সব চেয়ে বড় ত্রুটি হল হাতফের হওয়ার দরুণ প্রকল্পের খরচ বেড়ে গিয়েছে ১০ শতাংশ পর্যন্ত। যে জিনিস আসতে ১৫ দিন লাগত, সেটাই হাত ঘুরে আসতে সময় লাগছে তিন মাস (Indias Growth)। এছাড়া, লজিস্টিকস, গুদামজাতকরণ এবং অর্থায়ন সম্পর্কিত অতিরিক্ত খরচও যুক্ত হচ্ছে (China)।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles