মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেমোগ্রাফিক সংকট (China demographic crisis) চিনে। এরজন্য বিশেষজ্ঞ মহল সেদেশের এক সন্তান নীতিকেই দায়ী করছেন। প্রসঙ্গত, জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঠেকাতে ১৯৭৯ সালে এক সন্তান নীতি চালু করেছিল চিন। এর ফলে সেদেশের নাগরিকরা ইচ্ছা থাকলেও একের অধিক সন্তান নিতে পারতেন না। এবার এই এক সন্তান নীতিই যেন ব্যাকফায়ার শুরু করেছে। ডেমোগ্রাফিক সংকটের (China demographic crisis) কথা ভেবেই গত ২০১৬ সালে দুই সন্তানের অনুমতি দেওয়া হয়। পরে গতবছর চিনের পলিটব্যুরোতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরও কিছুটা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানানো হয়, এবার থেকে তিন সন্তানের জন্ম দেওয়ার অনুমতি পাবেন নাগরিকরা।
পরিসংখ্যান বলছে করোনাতেই গত বছরে মৃত্যু হয় ১ কোটি মানুষের
আবার সেদেশের বিভিন্ন রিপোর্ট বলছে, চিনের বর্তমান প্রজন্ম ছোট পরিবারেই সুখী থাকতে চাইছে, তাই একের অধিক সন্তান নিতেও অনীহা দেখা দিচ্ছে দম্পতিদের মধ্যে। বেশ কিছু রিপোর্ট দাবি করছে বর্তমান প্রজন্মের একটা অংশ অবিবাহিত থাকতে চায়, এটাও ডেমোগ্রাফিক সংকটের (China demographic crisis) অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। অবিবাহিত থাকার অন্যতম কারণ হিসাবে বেকারত্বকে তুলে ধরা হয়েছে। অন্যদিকে চিনে গত ৩ বছর ধরে চলা ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতিকেও এর জন্য অনেক বিশেষজ্ঞ দায়ী করছেন। বর্তমানে চিনা মহিলারা সেভাবে সন্তান ধারন করতে চাইছেন না। পরিসংখ্যান বলছে, করোনা ফলে গতবছর মৃত্যু হয়েছে সেদেশের ১ কোটির বেশি মানুষের। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের সরকারি হিসেব বলছে, ২০২২ সালের শেষে চিনের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১,৪১,১৭,৫০,০০০। বেজিংয়ের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, আগের বছরের শেষের তুলনায় এই সংখ্যাটা সাড়ে আট লাখ কমেছে। জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে চিনে জন্ম নিয়েছে ৯৫.৬ লাখ শিশু। এদিকে গতবছর চিনে মৃত নাগরিকের সংখ্যা ছিল ১.০৪ কোটি। এর আগে ১৯৬০ সালে চিনে শেষবারের মতো জনসংখ্যা কমেছিল। সেবার চিন সম্মুখীন হয়েছিল আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ দুর্ভিক্ষের। মাও সে তুঙের ভুল নীতির কারণেই সেই দুর্ভিক্ষ হয়েছিল বলে দাবি করা হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours