Child Nutrition: সন্তানের ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা! কোন ধরনের খাবার খেলে স্থূলতা নয়, পুষ্টি পাবে শরীর?

বয়স অনুপাতে সন্তানের ওজন ঠিকমতো বাড়ছে না? কী করবেন?
Child_Nutrition
Child_Nutrition

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

বয়সের অনুপাতে শরীর বড়ই ছিপছিপে! খাবার নিয়েও নানান বায়না। তাই অনেক সময়েই প্রয়োজনের তুলনায় ওজন কম থাকে।‌ সন্তানের এই কম ওজন নিয়ে তাই দুশ্চিন্তা মায়েদের। বিশ্বজুড়ে স্থূলতার সমস্যা বাড়ছে। কিন্তু তারপরেও বহু শিশু কম ওজনের সমস্যায় ভোগে (Child Nutrition)। বিশেষত বছর বারোর পরে বহু শিশুর ওজন ঠিকমতো বাড়ছে না। যার প্রভাব পড়ছে তাদের শারীরিক গঠন এবং পড়াশোনার ওপরেও। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স অনুপাতে ঠিকমতো‌ ওজন‌ না‌ বাড়লে নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বাড়ে। তাই বয়স অনুপাতে ঠিকমতো ওজন বৃদ্ধি জরুরি। এখন দেখা যাক, কোন ধরনের খাবার নিয়মিত দিলে ওজন দ্রুত বাড়াবে?

দুধের পাশপাশি মেনুতে নিয়মিত পনির থাকুক (Child Nutrition)

পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সন্তানকে নিয়মিত দুধ খাওয়ানো জরুরি। শুধু এক গ্লাস দুধের পরিবর্তে দুধ-কর্নফ্লেক্স কিংবা কাজু, আখরোটের মতো বাদাম জাতীয় জিনিস দুধে মিশিয়ে খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে। এগুলো খাবারের পুষ্টিগুণ বাড়ায়। দুধ সুষম খাবার। ভিটামিন, ক্যালসিয়াম সহ একাধিক উপাদান দুধে রয়েছে। এতে কর্নফ্লেক্স বা বাদাম জাতীয় উপাদান মেশানো হলে‌ শরীরে খনিজ পদার্থের জোগান বাড়ে। তাই ওজন বাড়াতেও সাহায্য করে। তবে দুধের পাশপাশি কয়েকটি দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত খেলে সন্তানের ওজন দ্রুত বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পনির নিয়মিত খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে। কারণ, পনীরের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। এটি প্রোটিন জাতীয় খাবার। তাই পেশিকে শক্তিশালী করতে বাড়তি সাহায্য করে পনির।

নিয়মিত ডাল সিদ্ধ বাড়াবে ওজন

পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু নিয়মিত ভাত, ডাল জাতীয় খাবার খেতে চায় না। বায়নার জেরে ভোগান্তি বাড়ে মায়েদের। কিন্তু সন্তানের পুষ্টির জন্য জরুরি নিয়মিত ডাল জাতীয় খাবার খাওয়া। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত যে কোনও এক ধরনের ডাল খাওয়া জরুরি। ভাতের সঙ্গে ডাল না খেতে চাইলেও, দিনের অন্য সময় ডাল সিদ্ধ মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডালে রয়েছে পর্যাপ্ত প্রোটিন এবং ফাইবার (Child Nutrition)। তাই নিয়মিত ডাল খেলে অন্ত্র ভালো থাকে। পেশি শক্তিশালী হয়। ওজন বাড়ে। পাশপাশি দেহে এনার্জির জোগান সহজে‌ হয়‌।

নিয়মিত ডিম সিদ্ধ বাড়াবে ওজন (Child Nutrition)

চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের প্রতি দিনের খাবারের তালিকায় অবশ্যই ডিম সিদ্ধ রাখা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমে রয়েছে‌ একাধিক ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম,‌ প্রোটিন। তাই এই জাতীয় খাবার একদিকে শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে, পাশপাশি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। দুর্বলতা কমায়। বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের শরীরে হরমোনের একাধিক পরিবর্তন হয়। এই‌ সময়ে তাদের শরীরের পরিবর্তন হয়। তাই জরুরি বাড়তি যত্নের।‌ তাই নিয়মিত একটা ডিম সিদ্ধ শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ক্যালসিয়ামের জোগান দেবে। শরীর সুস্থ রাখতে‌ বাড়তি সাহায্য করবে।

নিয়মিত কিসমিস এবং খেজুর খাওয়ার অভ্যাস বাড়াবে ওজন

পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত কিসমিস ও খেজুর খেলে ওজন বাড়বে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ওজন বাড়াতে এবং শরীরে এনার্জির জোগান‌ বজায় রাখতে এই দুই ড্রাই ফ্রুটস খুবই উপকারী। কারণ এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। তাই এগুলো শরীর সুস্থ রাখতে বাড়তি সাহায্য করে‌। অধিকাংশ শিশুই দিনভর ছোটাছুটি করে। পর্যাপ্ত এনার্জি জাতীয় খাবার না পেলে ওজন বাড়বে না। তাই নিয়মিত খেজুর জাতীয় খাবার খেলে শরীরে পর্যাপ্ত এনার্জির জোগান পাওয়া যাবে (Child Nutrition)। এর জেরে ওজন ঠিকমতো‌ থাকবে।

খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি (Child Nutrition)

চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারের পাশাপাশি জরুরি পর্যাপ্ত ঘুম। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশুর একাধিক শারীরিক ও মানসিক সমস্যার অন্যতম কারণ পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া। এর জেরে বিকাশের সমস্যা দেখা দিচ্ছে (Child Nutrition)। তাই খাবারের পাশাপাশি ঘুমের সময়ের দিকেও নজরদারি জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত আট ঘণ্টা ঘুম দরকার। তাই নিয়মিত রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস ছোট থেকেই যেন হয়, সেদিকে অভিভাবকদের নজরদারি দরকার। স্কুল পড়ুয়াদের অধিকাংশের অনেক ভোরে উঠতে হয়। তাই রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে অভ্যস্ত না হলে ঘুম পর্যাপ্ত হবে না। তাই নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের অভ্যাস তৈরি জরুরি।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles