মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেমালের তাণ্ডবে বাংলার উপকূলবর্তী একলা ব্যাপক দুর্যোগের কবলে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের দিনেই সদ্যোজাতের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল। সদ্যোজাতের শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাওয়া যায়নি কোনও ডাক্তার। একই ভাবে বিদ্যুৎ না থাকার জন্য চালানো যায়নি জেনারেটর। আর তাই অক্সিজেন ও নেবুলাইজার দেওয়া সম্ভব হয়নি। আর এর ফলে মৃত্যু হয় শিশুর (Child Death)। ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে। মৃত শিশুর নাম তুলিকা মোহতা। সুন্দরবন হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মৃত শিশুর পরিবার।
পরিবারের অভিযোগ (Child Death)
সোমবার সকালে সাগরের খানসাহেব আবাদ এলাকার শিবশঙ্কর মোহতা এক মাসের নিজের সদ্যোজাত কন্যাকে ভর্তি করেছিলেন। তিনি বলেন, “হাসপাতলের এক কর্মী জানান দুর্যোগের কারণে বিদ্যুৎ নেই। অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব নয়। বাইরে থেকে অক্সিজেন কিনে আনতে বলেন, সঙ্গে এই কথাও জানানো হয় কিনে আনলেও দিতে সময় লাগবে। অনেক ডাকাডাকির প্রায় আধ ঘণ্টা পরে চিকিৎসক গিয়ে শিশুটির চিকিৎসা শুরু করে। এরপর অক্সিজেন এবং নেবুলাইজার দেওয়ার জন্য চালানো হয় জেনারেটর। কিন্তু ততক্ষণে আমার শিশুর মৃত্যু (Child Death) হয়ে যায়। বিনা চিকিৎসায় সন্তান মারা গেল আমার সন্তান।” ইতিমধ্যেই সদ্যজাত মৃত শিশুর পিতা লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন হাসপাতালের সুপারের কাছে। ঝড়ের মধ্যে প্রশাসনের গাফিলতির জন্য মৃত্যু হয়েছে শিশুর। শিশুর মা কান্না করতে করতে এই অভিযোগ তোলেন। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার পক্ষ থেকে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে মৃত্যুর তদন্ত যাবেন।
আরও পড়ুনঃ বাংলা-হিন্দি-ইংরেজি ভাষায় ৮০টি কবিতা বলে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল কান্দির কন্যা
স্বাস্থ্য আধিকারিকের বক্তব্য
সাগর ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক অংশুমান বসু জানিয়েছেন, “ঘটনা খুবই দুঃখজনক, আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে দেখা হবে। যদি কেউ দোষী থাকেন তাহলে অবশ্যই শাস্তির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করব।” আবার ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলা আধিকারিক জয়ন্ত সুকুল বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি বাচ্চাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নেবুলাইজারের গ্যাস দিতে দেরি হয়েছিল শুনলাম। এরপর শিশুর মৃত্যু (Child Death) হয়। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours