মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল দলটাই চোর লুটেরায় ভরে গিয়েছে। মানুষ এখন হাড়ে হাড়ে তা বুঝতে পারছেন। আলিপুরদুয়ারে এসে একথা বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা (Jhon Barla)। তিনি বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূল বিধায়করা জেলে যাচ্ছেন। এখনও অনেকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তৃণমূল এখন চোরেদের দলে পরিণত হয়েছে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করবে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Jhon Barla) কী বললেন?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা (Jhon Barla) বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যতই আলিপুরদুয়ারে এসে তাঁবু খাটিয়ে জনসংযোগ করুক না কেন, কোনও লাভ হবে না। ওরা (তৃণমূল) বলছে টাকা নেই, আর এদিকে উৎসব চলছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে যেভাবে প্যান্ডেল করা হয়েছে, ওই টাকা যদি গরিব মানুষদের মধ্যে বিলি করা হত, তাহলে বুঝতাম যুবরাজ জনগণের মানুষ। সাধারণের বাড়িতে রাত কাটালে বুঝতাম ওদের (তৃণমূল) সঙ্গে লোক আছে। যুবরাজের তো আবার এসি লাগবে। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জন বার্লার (Jhon Barla) সমালোচনা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী কেন উচ্চ পর্যায়ের কেন্দ্রীয় কমিটি আনতে পারেননি? যদিও অভিষেকের সেই অভিযোগকে কটাক্ষ করে জন বার্লা (Jhon Barla) বলেন, রাজ্য সরকার এমনকী জেলা প্রশাসন আমাদের কোনওরকমভাবে সহযোগিতা করছে না। জেলার উন্নয়ন করতে হলে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের সমন্বয় দরকার। কেন্দ্রের ইচ্ছা থাকলেও রাজ্যের অসহযোগিতায় কোন উন্নয়নমূলক কাজ এই এলাকার মানুষের জন্য করা যাচ্ছে না। অথচ অন্যান্য রাজ্যগুলো এগিয়ে আসছে। আমাদের রাজ্য এক সময় দেশের মধ্যে সব দিক থেকেই শীর্ষে ছিল, সেই রাজ্য আজকে অন্যান্য অনেক রাজ্যের থেকে পিছিয়ে পড়ছে।
চা শ্রমিকদের নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Jhon Barla)?
জন বার্লা বলেন, ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আদিবাসীরা চা বাগানে রয়েছেন। কয়েক পুরুষ ধরে বসবাস করলেও তারা চা বাগানের এক ইঞ্চি জমিতে বাড়ি বানাতে পারছেন না, রাজ্য সরকার জমির পাট্টা দেয়নি। আমি তো জোর করে বাড়ি বানিয়েছি। আমার চার পুরুষ ওই জমিতে বসবাস করছে, আমি কেন বাড়ি বানাতে পারবো না? আমাকে দেখে সবাই বাড়ি বানাবেন, এই জমি আমরা ছাড়তে পারবো না, পারলে আমাকে উঠিয়ে দিক। ১৫০ বছর হয়ে গেছে আমরা জমির অধিকার পাইনি। রোহিঙ্গারা এসে জমি বাড়ি পেয়ে যাবে, আমরা এই দেশের আদিবাসী বাসিন্দা হয়ে কেন জমি বাড়ি পাব না?
কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শাসকদলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিকবড়াইক বলেন, আলিপুরদুয়ারের মানুষ এতদিন তাঁকে খুঁজে পাননি। তাই নিজেকে বাঁচাতে তিনি ওইসব আবোল তাবোল বকে যাচ্ছেন। রাজ্য সরকার চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা দিচ্ছে। চা সুন্দরীর ঘর করে দিচ্ছে। তিনি ওই সব উন্নয়নের কাজ দেখতেও পান না, শুনতেও পান না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours