মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটের গণনা কেন্দ্র থেকেই সিসিটিভি ও তার সঙ্গে মেমরি কার্ড চুরি হয়ে গিয়েছে। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে বালুরঘাট কলেজে। পঞ্চায়েত ভোটে গণনা হয়েছিল ১১ জুলাই। ১২ জুলাই বালুরঘাট সদরের বিডিও বালুরঘাট থানায় সিসিটিভি চুরির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিডিওর করা এই অভিযোগকে ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল শুরু হয়েছে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বিডিওর অভিযোগ নিয়ে ট্যুইট করেছেন
ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটের গণনা কেন্দ্র করা হয়েছিল বালুরঘাট কলেজ। সেই গণনা কেন্দ্রের কেবি-৫ রুম থেকে চুরি গিয়েছে সিসিটিভি এবং তার মেমরি কার্ড। এমন অভিযোগ গত ১২ তারিখে বালুরঘাট থানায় দায়ের করেছেন বালুরঘাটের বিডিও অনুজ শিকদার। বিডিওর করা অভিযোগ সামনে আসতেই সরব বিজেপি। ইতিমধ্যে এনিয়ে রবিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার টুইট করেছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট হিলির জেডপি ১৩ মণ্ডলে কারচুপি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। যদিও এনিয়ে বালুরঘাট ব্লকের বিডিও সহ জেলা পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা কেউ সংবাদ মাধ্যমের ফোন ধরেননি। প্রসঙ্গত, গণনার দিন বিকেলে গণনায় কারচুপি হয়েছে, এই অভিযোগ করে জেলাশাসকের দফতরের সামনে ধর্নায় বসেন সুকান্তবাবু। পরে রাত বারোটা থেকে ভোর সাড়ে চারটা পর্যন্ত গণনা কেন্দ্রের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর অভিযোগ ছিল গণনা কেন্দ্রে ব্যাপক কারচুপি করা হচ্ছে এবং সেটা প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই। এই ঘটনার পর সিসিটিভি চুরি যাওয়ার যে তথ্য সামনে এসেছে তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।
পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য জুড়ে ভোটের আগের রাত থেকে ব্যালট বাক্স খুলে ছাপ্পা, ভোটের দিন সন্ত্রাস করে ছাপ্পা, বৈধ ব্যালট লুঠ করে ফেলে দেওয়া, গণনাকেন্দ্রে বিডিও সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের মদতে তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের সাহায্যে কারচুপি করে তৃণমূলকে জেতানোর ঘটনা তো ছিলোই। pic.twitter.com/Nobwqvr6x7
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) July 16, 2023
কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) ?
এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বিডিও নিজেই অভিযোগ করেছে যে গণনা কেন্দ্র থেকে সিসিটিভি ও মেমরি কার্ড চুরি হয়ে গিয়েছে। ভয়টা এই কারণেই ওই সিসিটিভিতে সে ভিডিওগুলো আছে সেটা বেরোলে ধরা পরে যাবে, তৃণমূল গণনার নামে লুট করেছে। আমি বাধ্য হয়েছিলাম রাত ২ টার সময় গণনা কেন্দ্রর ২০০ মিটার দূরে গিয়ে দাঁড়াতে। লুট চলছে কতক্ষণ দেখা সম্ভব। আমরা বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাব এবং আদালত সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাইতে পারে। তাই আগেভাগেই সেগুলিকে হারিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক।
কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?
অন্যদিকে জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিরোধীদের করা অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনও ভাবেই জড়িত নয়। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours