মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো কাটতে না কাটতেই গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) তদন্তে আরও গতি আনল সিবিআই (CBI)। আয়-ব্যয়ের হিসেব চেয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা নোটিস পাঠাল ধৃত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) মেয়ে সুকন্যার নামে থাকা সংস্থাকে। সূত্রের খবর, ANM অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার উপর নজর রয়েছে সিবিআইয়ের। তাই ওই সংস্থার আধিকারিকদের যাবতীয় নথি সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে জমা দিতে বলা হয়েছে। আসলে ওই কোম্পানির ডিরেক্টর অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এবং বিদ্যুৎবরণ গায়েন। গরুপাচার মামলায় দু’জনেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার র্যাডারে রয়েছেন।
গরু পাচার মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। আপাতত তিনি জেলে। তবে গোয়েন্দাদের ধারণা, এই বৃহত্তর দুর্নীতির সঙ্গে শুধু অনুব্রত নন, তাঁর ঘনিষ্ঠরা ওতপ্রতোভাবে জড়িয়ে। গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের বেনামি অর্থ বিভিন্ন সংস্থায় খাটানো হয়েছে বলে ধারণা সিবিআইয়ের। সেই কারণেই ANM অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডের আধিকারিকদের ১৬০ ধারায় নোটিস দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মূলত সাক্ষী হিসেবে তাঁদের তলব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জেলের ভেতরেই অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার ইডির, চাপ বাড়ল কেষ্টর?
উল্লেখ্য, এই সংস্থার নামে অতীতে একাধিক সম্পত্তি কেনা হয়েছে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, মূলত ভয় দেখিয়ে, চাপ দিয়ে বাজার মূল্যের থেকে অনেক কম দামে সম্পত্তি কেনা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, সম্পত্তি কেনার জন্য এই বিপুল পরিমাণ অর্থের সোর্স জানতে চায় সিবিআই। এই সংস্থার দু’জন ডিরেক্টর। একজন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। অন্যজন বিদ্যুৎবরণ। যিনি তৃণমূল নেতার খুবই ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, নথি হাতে পাওয়ার পর সুকন্যা ও বিদ্যুৎবরণকে আলাদা আলাদা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন সিবিআই অফিসাররা। উল্লেখ্য, এর আগেও সুকন্যাকে জেরা করতে সিবিআইয়ের দল হাজির হয়েছিল বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে। নানা বাহানায় সুকন্যা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাই এখন দেখার, নোটিস পাওয়ার পর তিনি কী করেন?
+ There are no comments
Add yours