Mominpur Ekbalpur: মোমিনপুর-একবালপুর কাণ্ডে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

বেলা ২টোর মধ্যে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।
mominpur_high_court
mominpur_high_court

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুর ও একবালপুর (Mominpur Ekbalpur) এলাকায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ সংক্রান্ত মামলায় (Ekbalpur Mominpur Case) বেলা ২টোর মধ্যে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দল। এবারে বুধবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিচারপতিও। এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনায় এনআইএ-কে (NIA) কেন জানানো হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।

মোমিনপুর-একবালপুর (Mominpur Ekbalpur) ঘটনার জেরে গতকাল আদালতের দ্বারস্থ হন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। এর পাশাপাশি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়। ফলে এইসব মামলার শুনানি হয় আজ। তখনই মোমিনপুর সংঘর্ষ সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন তোলে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। প্রথমেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এদিন কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে কটাক্ষ করে বলেন, এলাকা থেকে যে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে, রাজ্য পুলিশ সে ব্যাপারে কী তদন্ত করেছে বা অন্যান্য কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা জানাতে হবে আদালতকে। এর পাশাপাশি প্রশ্ন করা হয়েছে, বোমাবাজি হওয়া সত্ত্বেও কেন এখনও পর্যন্ত এনআইএ-র ধারায় মামলা রুজু করা হয়নি? ফলে এইসব প্রশ্ন করে পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের থেকে জবাব চায় আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আজ বেলা ২টোর সময়।

এই ঘটনার জল (Mominpur Ekbalpur) আদালত পর্যন্ত গড়ালে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। এই রিপোর্টে জানাতে হবে, জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, ক্ষতিপূরণ নিয়ে কী চিন্তাভাবনা করেছে রাজ্য এবং সেই এলাকার শান্তি, সম্প্রীতি ফেরাতে কী করা হচ্ছে? এখানেই শেষ নয়, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে তলবেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদালত। নির্দেশ না মানলে ডাকা হতে পারে তাঁকেও, এমনই তথ্য জানা গিয়েছে। 

আরও পড়ুন: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

প্রসঙ্গত, মোমিনপুর-একবালপুর (Mominpur Ekbalpur) ঘটনায় জোড়া মামলা দায়ের করা হয়। এক হলেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দও ও অপরজন নবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আদালতে আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত বলেন, “৮ তারিখ থেকে ঝামেলা শুরু হয়েছে। বস্তিতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি ঘটনার দিন গিয়েছিলাম আক্রান্ত এলাকায়। ময়ুরভঞ্জ এলাকায় যে বস্তি রয়েছে, সেখানে কোনও পুলিশের নিরাপত্তা ছিল না। শুধুমাত্র কয়েকজন লাঠি হাতে পুলিশ সেখানে ছিলেন।" অপর পিটিশনার নবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, "কার্নিভালের জন্য রেড রোডে বিরাট আয়োজন করা হল কার্নিভালের। তারই পাশে এই পরিস্থিতি, তবুও পুলিশ কিছু করতে পারল না?"

এছাড়াও পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনায় এপর্যন্ত ৪২ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আরও ৩৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। নোটিস পাঠিয়ে ৪১ জনকে সতর্ক করা হয়েছে। অশান্তির ছবি ছড়ানোর জন্য ৮০টি ভিন্ন ভিন্ন মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারাও। ফলে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে বলে দাবি করেছে প্রশাসন।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles