Calcutta High Court: শিক্ষকদের আদর্শ আচরণবিধি নিয়ে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

Proper Teacher: শিক্ষকদের একগুচ্ছ নির্দেশ আদালতের, জানেন কী কী?
calcutta_highcourt
calcutta_highcourt

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আচারণ কেমন হওয়া উচিত তা স্পষ্ট করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট এক নির্দেশিকায় শিক্ষকদের রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে না পড়ারও পরামর্শ দিয়েছে। যে কোনও বিষয়ে রাজনীতি টেনে আনতে মানা করা হয়েছে। সম্প্রতি একটি মামলার শুনানি চলাকালীন,  শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কেমন আচরণ মেনে চলতে হবে, সেটি পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি শম্পা দত্ত (পাল)। 

বিচারপতির নির্দেশিকা

১। শিক্ষার্থীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন: শিক্ষার্থীদের মর্যাদা ও সুবিচার দিন। সর্বাত্মক এবং পড়াশোনার সহায়ক পরিবেশ গড়ে তুলুন।

২। দক্ষতা: পড়ুয়াদের পাঠ্য বিষয়ে দক্ষতা ও যোগ্যতা অবলম্বন এবং শিক্ষাদানের পদ্ধতির ক্ষেত্রেও তার পরিদর্শন জরুরি। 

৩। সততা: সততার সঙ্গে পেশাকে বেছে নিন এবং শিক্ষাগত ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা অবলম্বন করুন।

৪। পেশাদারিত্ব: শিক্ষার্থী, সহকর্মী এবং কর্মীদের সঙ্গে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনায় যথাযথ সীমানা এবং আচরণ বজায় রাখুন।

৫। ন্যায্যতা এবং নিরপেক্ষতা: পড়ুয়াদের পড়াশোনা ও কাজকে ইতিবাচক চোখে দেখা এবং গঠনমূলক সদুপদেশ দেওয়া।

৬। ধারাবাহিক উন্নতি: পেশাদারি অগ্রবর্তন অর্থাৎ নিজেকে আধুনিক রাখা যাতে আপনার পাঠ্য বিষয়ে কোথায় কী ঘটছে তা যেন আপনার নখদর্পণে থাকে।

৭। সহকর্মীদের প্রতি সহানুভবতা: সহকর্মীদের সঙ্গে সহযোগিতা বজায় রাখা এবং শিক্ষা মহলে ইতিবাচক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা।

৮। প্রাতিষ্ঠানিক নীতির প্রতি দায়বদ্ধতা: শিক্ষা, গবেষণা ও পড়ুয়াদের সহায়তার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিয়মনীতি অনুসরণ ও পালন করে চলা।

আরও পড়ুুন: ‘‘অনেক লোককে আজকাল কেনা–বেচা যায়’’, সন্দেশখালির ভিডিও নিয়ে তৃণমূলকে তোপ দিলীপের

কোন মামলার প্রেক্ষিতে নির্দেশ

হুগলি উইমেন্স কলেজের প্রিন্সিপালের এক আবেদনের শুনানিতে আদালত এই সুপারিশগুলি দিয়েছে। অধ্যক্ষা তাঁর বিরুদ্ধে আনা কলেজেরই এক অধ্যাপিকার মানহানির মামলা খারিজের আবেদন জানিয়েছিলেন। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'রাজনৈতিক প্রভাবে শিক্ষা প্রদানের প্রাথমিক উদ্দেশ্যকে পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়। এই বিষয়টি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের প্রতিকূল পরিবেশ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ার পরিপন্থী। আদালত বলেছে,'এই মামলায় লিখিত অভিযোগে বর্ণিত তথ্যগুলি ধারা ৪৯৯ এর অধীনে নির্ধারিত নবম ব্যতিক্রমের আওতায় আসে এবং এইভাবে ৫০০ ধারার অধীনে অভিযুক্ত অপরাধ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি বর্তমান মামলায় স্পষ্টভাবে অনুপস্থিত।' সমস্ত নথি পরীক্ষা করে আদালত (Calcutta High Court) বলেছে, অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে বা জ্ঞান বা বিশ্বাস নিয়ে অভিযোগকারীর সুনাম ক্ষুণ্ণ হতে পারে এমন কোনও কাজের প্রমাণ নেই। মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles