Brain Mapping: ব্রেন ম্যাপিং করা হতে পারে আফতাব পুনাওয়ালার, কী এই পরীক্ষা?

বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া এই পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট মূল প্রমাণ হিসেবেও গ্রাহ্য হবে না।
delhi_murder
delhi_murder

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পলিগ্রাফ, নারকো টেস্টের পর এবার শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার ব্রেন ম্যাপিং (Brain Mapping) করতে পারে দিল্লি পুলিশ। ব্রেন ম্যাপিং- এর ফলে ব্রেনের পরিস্কার ছবি পাবেন বিশেষজ্ঞরা। ব্রেনের বিভিন্ন অংশের ছবি তুলে ধরবে এই বিশেষ পদ্ধতি। যা পরবর্তীতে তদন্তে সাহায্য করবে। 

কী পদ্ধতিতে হবে এই পরীক্ষা?

অভিযুক্ত, যার ওপর এই ব্রেন ম্যাপিং (Brain Mapping) পরীক্ষা হবে, তাকে প্রথমে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হবে। এটা বোঝার চেষ্টা করা হবে, যে তিনি কিছু লুকোতে চাইছেন কী না। বিশেষ কিছু বিষয়ে কথা বলতে দিয়ে বিশেষজ্ঞরা মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু জায়গাকে সক্রিয় করার চেষ্টা করবেন, যেই জায়গাগুলি স্মৃতির জন্যে দায়ী। কিছু শব্দের তালিকা দেওয়া হয়ে থাকে অভিযুক্তকে। 

এই ক্ষেত্রে (Brain Mapping) তিন ধরনের শব্দ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রথমত অর্থহীন কিছু শব্দবন্ধ, যার সঙ্গে মামলার কোনও সম্পর্ক থাকে না। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে এমন কিছু শব্দ দেওয়া হয়, যার সঙ্গে মামলার সরাসরি যোগ রয়েছে। তৃতীয় ক্ষেত্রে এমন কিছু শব্দ দেওয়া হয়, যা অত্যন্ত গোপনীয় তথ্য। যার বিষয়ে অভিযুক্ত কিছুই জানেন না। 

অভিযুক্তকে প্রথমে বসতে বলা হয় এবং চোখ বন্ধ করতে বলা হয়। এবার এই তিনধরনের শব্দ থেকে যখন-তখন যেকোনও শব্দ বলা হয়। ৩২ চ্যানেলের ইলেক্ট্রোড সরাসরি খুলির ওপর লাগানো থাকে। অভিযুক্তকে শব্দগুলি মন দিয়ে শুনতে বলা হয়। এই পরীক্ষায় অভিযুক্তের কোন মৌখিক প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজন নেই। তাঁর মস্তিষ্ক কী প্রতিক্রিয়া (Brain Mapping) দিচ্ছে সেটাই দেখা হয়। মস্তিষ্কের কোন অংশ কীভাবে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে সেটাই মূলত দেখা হয় এই পরীক্ষায়। তার ভিত্তিতেই রিপোর্ট তৈরি করেন বিশেষজ্ঞরা। 

এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে কী আইন রয়েছে? 

ভারতীয় শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুসারে কোনও ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তাঁর ওপর ব্রেন ম্যাপিং (Brain Mapping) , পলিগ্রাফ বা নারকো টেস্ট করা যাবে না। বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া এই পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট মূল প্রমাণ হিসেবেও গ্রাহ্য হবে না।

আরও পড়ুন: 'রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলাম...' আদালতে জানাল 'কিলার' আফতাব

যত দিন যাচ্ছে, শ্রদ্ধা খুনের মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে জোরকদমে চলছে পুলিশি তদন্ত (Brain Mapping) । এরই মাঝে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাব আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে যে, সেই তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করেছে। আফতাব আদালতে জানায়, যা হয়েছে, রাগের বশে হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে মেহুরুলির জঙ্গলে ছড়িয়ে দিয়ে এসেছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছিল আফতাব। দিল্লি পুলিশ তাঁর সেই স্বীকারোক্তির (Brain Mapping) উপর ভিত্তি করে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জঙ্গলে তিন বার তল্লাশি চালায়। আর এরই মধ্যে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মৃতদেহের খুলির একাংশ, কাটা কব্জি, হাঁটুর অংশ। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহাংশগুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে। শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। ফলে পরবর্তীতে দিল্লি পুলিশের হাতে  আর কী কী তথ্য উঠে আসে সেটাই এখন দেখার।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles