Donor Saves Life: সফল অঙ্গদান! ওড়িশায় ব্রেন ডেড মহিলার কিডনি প্রতিস্থাপন করে বাঁচল দুজনের জীবন

‘গ্রাহকদের কাছে অঙ্গদানকারীরা ঈশ্বরতুল্য।' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
doctor-1625125747
doctor-1625125747

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশায় এক ব্রেন ডেড মহিলার কিডনি প্রতিস্থাপন করে দুজনের জীবন বাঁচানো গেল। কটকের এসসিবি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (MCH) ইউরোলজি এবং নেফ্রোলজি বিভাগে এই প্রতিস্থাপন করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃত দাতা, কটকের জগৎপুরের তারোলের বাসিন্দা তনুজা কর। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁকে বাঁচানোর সমস্ত রকম চেষ্টা করার পর চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন ওই মহিলার ব্রেন ডেড হয়েছে। এরপরই তাঁর কিডনি দানের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।

ওড়িশায় অঙ্গদান

সরকারি সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রাপক তালিকা অনুসারে, উচ্চ অগ্রাধিকার স্কোর সহ দুই জন প্রাপককে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য বেছে নেওয়া হয়। ভুবনেশ্বরের অ্যাপোলো হাসপাতাল প্রয়োজনীয় সমস্ত সহযোগিতা করেছে। দাতা এবং গ্রহীতার ক্রস ম্যাচের পর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপনের পর গ্রহীতারা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। প্রাপকরা হলেন ঝাড়সুগুড়ার ব্রজরাজ নগরের অলোক বোদক (৩৬) এবং কটকের সিডিএ-র সৌরজ্য রঞ্জন সাহু (৪৮)৷

অঙ্গদান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী

উল্লেখযোগ্যভাবে, ওড়িশায় প্রথম ক্যাডেভারিক কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছিল ২০২০ সালে। মরণোত্তর অঙ্গদান প্রক্রিয়া মসৃণ করতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সারাদেশে এই নিয়ে অভিন্ন নীতি চালুর পথে হাঁটছে সরকার। রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে একথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী মরণোত্তর অঙ্গদানের জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘গ্রাহকদের কাছে অঙ্গদানকারীরা ঈশ্বরতুল্য। এতে বহু মানুষের জীবন রক্ষা করা যায়।’  

আরও পড়ুুন: মমতার দফতরেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ! ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ শুভেন্দুর

সারা দেশে অঙ্গদান নিয়ে যেভাবে সচেতনতা বাড়ছে, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মরণোত্তর অঙ্গদান নিয়ে কী ধরনের নীতি আসছে, তিনি সেব্যাপারেও আভাস দিয়েছেন। তাঁর কথায়, অঙ্গদানের জন্য যে স্টেট ডোমিসাইল নীতি রয়েছে, তা তুলে দিতে চলেছে সরকার। এতে একজন রোগী দেশের যে কোনও রাজ্যে গিয়ে অঙ্গ পেতে পারেন। এখন অঙ্গদানের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৬৫ বছর। বয়সের সেই উর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়ার কথাও প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালে মরণোত্তর অঙ্গদান করেছিলেন ৫ হাজারেরও কম মানুষ। ২০২২ সালে তা ১৫ হাজার ছাপিয়ে গিয়েছে। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles