মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মনোনয়ন ঘিরে মঙ্গলবারই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ভাঙড়। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা ছুড়তে থাকে শাসকদলের গুন্ডা বাহিনী, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। এদিনই তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুল ইসলামের গাড়ির ড্যাশ বোর্ড থেকে বোমা উদ্ধার হয়। যা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত শুভেন্দুর
কী বললেন সুকান্ত?
আরাবুলের ছেলের নাম না করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, ‘‘বাপ কা বেটা সিপাহি কা ঘোড়া, কুছ নেহি তো থোড়া থোড়া!’’ সুকান্ত মজুমদার এদিন আরও বলেন, ‘‘কলেজের অধ্যাপিকাকে যখন জগ ছুড়ে মেরেছিল, তখনই তো পুলিশ আরাবুলকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশের সেই সাহস নেই। যতদিন তৃণমূল ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন লাফালাফি করবে। তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত হলে ইঁদুরের গর্তে ঢুকে পড়বে।’’ এদিন ভাঙড়ের অশান্তি প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘শওকত মোল্লা গোটা ভাঙড় নিয়ন্ত্রণ করে। আমরা আগেই বলেছিলাম পুলিশকে দিয়ে ভোট হবে না। তার কারণ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ গুলি চালাতে পারে না। সেজন্য তাদের কেউ ভয় পায় না। বোমা মারছে তাদের লক্ষ্য করে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বন্দুকের নলে মাকড়সার জাল বিছিয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে কারও ক্ষমতা ছিল না বোমাবাজি করার।’’
ক্যানিং-এর অশান্তি নিয়ে কী বললেন বালুরঘাটের সাংসদ?
ক্যানিংয়ের অশান্তি নিয়েও এদিন সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘ক্যানিংয়ে এদিন দলীয় নেতৃত্ব প্রার্থীদের সঙ্গে মনোনয়ন কর্মসূচিতে গেলে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী আচমকা হামলা চালায়। সজল ঘোষ, প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল সহ অনেকেই হামলায় জখম হয়েছেন। এটা নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই বিজেপি প্রার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ক্যানিং-এ। বিজেপির মহিলা প্রার্থী সহ বেশ কয়েকজন জখম হন তৃণমূলের হামলায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours