মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) রক্ষাকালী পুজোর বিসর্জনের সময় রাম নামের গান বাজানোয় হামলা করেছে দুষ্কৃতীরা। রাজ্যে রাম নবমীর আগে এই ধরনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছে বিজেপি। এক্স হ্যান্ডেলে ঘটনার ভিডিয়ো পোস্ট করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মমতা সরকারকে কড়া আক্রমণ করেছে বিজেপি। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। উল্লেখ্য এই কেন্দ্র থেকেই তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপির অভিযোগ (Diamond Harbour)
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই ডায়মন্ড হারবারের সরিষার (Diamond Harbour) কলাগাছিয়া এলাকায় গ্রামের বাসিন্দাদের তরফে রক্ষাকালী পুজোর আয়োজন করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর সেই কালী প্রতিমা নিরঞ্জনের (Kali Idol Immersion ) সময় দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা করে আক্রমণ করে। কালী প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় এক যুবক গেরুয়া জামা পরেছিলেন। বাজানো হচ্ছিল শ্রীরামকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন গান (Ram Song)। সেই সময় আচমকা তাঁদের উপর হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। এরপর পুড়িয়ে দেওয়া হয় গেরুয়া গেঞ্জি। নিরঞ্জনে অংশ নেওয়া সাধারণ মানুষকে বেধড়ক মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একাধিক বাড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ দোষীদের গ্রেফতার না করে পাল্টা ১১ জন বিজেপি (BJP) কর্মীকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে তালা পড়ল হাওড়া জুট মিলে! বিপাকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!
এই ঘটনায় নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্য বিজেপি (BJP) পোস করে বলা হয়েছে, “পুলিশ ঘটনাস্থলে (Diamond Harbour) এলেও তাঁরা কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার পরিবর্তে পুলিশ বিজেপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করেছে। এগুলি পরিকল্পিত হামলার ছক। ভোটের কথা মাথায় রেখেই এগুলি করা হয়েছে।” উল্লেখ্য গতবারও রামনবমীর (ram navami) আগে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ অভিযুক্তদের না ধরে বেছে বেছে বিজেপি সদস্যদের গ্রেফতার করেছে। নির্বাচনে যাতে ভাইপো (abhisekh banerjee) জেতেন তার জন্যই পরিকল্পনা করে এই সব করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১৭ এপ্রিল রামনবমী। সেদিনও রাজ্যে অশান্তির ছবি ধরা পড়বে বলে মনে করছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (amit malviya)। সেই সময় যাতে কোনও অশান্তি না হয় তার জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (election commission) কাছে বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours