Birbhum: সেনাবাহিনীতে ‘অগ্নিবীর’ সুমন, প্রত্যন্ত গ্রামে প্রথম সরকারি চাকরিতে খুশির হাওয়া

আচমকাই সেলিব্রিটি বীরভূমের গ্রামের ছেলে, কেন শুনলে অবাক হয়ে যাবেন
Birbhum
Birbhum

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতারাতি সেলিব্রিটি বীরভূমের (Birbhum) গ্রামের ছেলে। না, কোনও সিনেমায় অভিনয় বা অন্য কোনও কাজ করে নয়, সরকারি চাকরি পেয়ে সেলিব্রিটি তিনি। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনছেন, গ্রামের প্রথম সরকারি চাকরি বলে কথা। বীরভূমের সিউড়ির নগরী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বড়গ্রামের এক সামান্য দিনমজুরের ছেলে সুমন। ছোট থেকেই পড়াশোনাতে অনেক সুনাম। তারই প্রতিফলন সেনাবাহিনীতে অগ্নিবীর হিসেবে সাফল্য পাওয়া। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামের মানুষজন শুভেচ্ছা জানাতে ভিড় করছেন সুমনের ছোট্ট মাটির কুঁড়ে ঘরে।

সংসারের হাল ধরতে পড়াশোনা শেষের আগেই চাকরির সিদ্ধান্ত (Birbhum)

নগরী গ্রামের সুধাংশু বদনি শিক্ষানিকেতন স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর বিশ্বভারতীতে বিএসসি অনার্স নিয়ে পড়াশোনা সুমনের। ইচ্ছে ছিল নেট-সেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পিএইচডি করে অধ্যাপক হওয়ার। কিন্তু বিএসসি পঞ্চম সেমেস্টার সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই সেনাবাহিনী থেকে ডাক পড়ে সুমনের। অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন যেত সুমনের। বাবা রাজমিস্ত্রির শ্রমিক, কোনও দিন হাতে কাজ থাকত, আবার কোনও দিন তাও থাকত না। তাই সুমনের মা সিউড়িতে বাড়ির পরিচারিকার কাজ করতেন। সেই থেকেই সুমনের পড়াশোনার খরচ চলত বলে জানিয়েছে পরিবার। কিন্তু সুমন থেমে থাকেননি, এত কষ্টের মধ্যেও পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন। সংসারের হাল ধরতেই সেনাবাহিনীর জন্য আবেদন করেন সুমন, আর প্রথমবারেই সাফল্য। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামে খুশির জোয়ার। কারণ বড়গ্রামের বাউড়িপাড়া অঞ্চলে প্রথম সরকারি চাকরি পেয়েছেন সুমন। আগামী ২২ এপ্রিল থেকেই সেনাবাহিনীর কর্মী হিসেবে নিযুক্ত হবেন তিনি (Birbhum)।

সুমন নিজে কী জানিয়েছেন?

সুমনের এই সাফল্যের পর খুশি গোটা গ্রামবাসী থেকে তাঁর পরিবার। এই বিষয়ে সুমন বলেন, "যেহেতু আমি একটি গরিব ঘরের ছাত্র, আমার বাবা দিনমজুর এবং মা পরিচারিকার কাজ করে, তাই সংসার খুব কষ্ট করেই চলত আমাদের। এতে আমার পড়াশোনার খরচও চালাতে হত। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিই সেনাবাহিনীতে আবেদন করার। প্রথমবারই আমি সাফল্য পেয়েছি। আর গ্রামে প্রথম সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে নিজেকে আজ প্রতিষ্ঠা করেছি। তাই গ্রামবাসীও খুব খুশি।" সুমনের মা বলেন, "ছেলের পড়াশোনা করার খুবই ইচ্ছে ছিল। তাই খুব কষ্ট করে পড়াশোনা করাচ্ছিলাম। ও সরকারি চাকরি পাওয়ায় আমরা খুবই খুশি। এবার পরিবারের (Birbhum) অভাব কিছুটা হলেও মিটবে।"

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles