মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll) ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। শুধু গুলিবিদ্ধ হয়ে একের পর এক রাজনৈতিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দুদিন আগেই যুব তৃণমূল কর্মীকে খুন করার ঘটেছিল ঘটেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। সোমবার রাতে বাসন্তীতে এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই মঙ্গলবার কুলতলিতে গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূল প্রার্থী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?
কুলতলির মেরীগঞ্জ ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভোটের (Panchayat Poll) প্রচার করছিলেন তৃণমূল প্রার্থী কুতুবুদ্দিন ঘরামি। সেই সময় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূল প্রার্থী ছুটে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। তৃণমূল প্রার্থীর পায়ে গুলি লাগে। হামলাকারীরা সিপিএম এবং এসইউসি আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে তৃণমূলের অভিযোগ। মেরিগঞ্জ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ নম্বর বুথের গ্রাম সভার তৃণমূল প্রার্থী কুতুবুদ্দিনসাহেব। কুতুবুদ্দিনকে উদ্ধার করে জামতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে উত্তেজনা মারিগঞ্জ এলাকায়। কখনও দেওয়াল লেখাকে কেন্দ্র করে মারধর, বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এবার গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল। ঘটনার পর পরই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল প্রার্থী?
তৃণমূল প্রার্থী কুতুবুদ্দিনসাহেব বলেন, এলাকায় তৃণমূলের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Poll) আমরা ভাল ফল করব। প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। বিরোধীরা এটা মেনে নিতে পারছে না। সিপিএম এবং এসইউসি মিলে এই হামলা চালিয়েছে। আমাকে খুন করার জন্যই ওরা হামলা চালিয়েছিল। আমি পালিয়ে গিয়ে প্রাণে বেঁচেছি। তবে, ওদের ছোঁড়া গুলি আমার পায়ে লেগেছে।
কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?
কুলতলি এরিয়া কমিটির সেক্রেটারি উদয় মণ্ডল বলেন, তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। সিপিএম কর্মীদেরকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যে মামলা দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে বদনাম করার জন্য তারা সিপিএমের নাম বলছে। এর ঘটনার সঙ্গে সিপিএম কোনওভাবেই যুক্ত নয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours