মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দুরা (Bangladeshi Hindu)। তাঁদের নিরাপত্তার দাবিতে শনিবারই কলকাতার রাজপথে নামছেন বাংলার সাধু-সন্তরা। হিন্দুদের নিরাপত্তার দিকটি যাতে ভারত সরকার খতিয়ে দেখে সেই দাবি জানাতেই রাজ্যপাল (Governor of West Bengal) সিভি বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবেন সাধু-সন্তরা। জানা গিয়েছে, সনাতন সংস্কৃতি পরিষদ নামের (Bangladeshi Hindu) ওই সংগঠনের তরফ থেকে শনিবার বিকাল ৫টা নাগাদ রাজ্যপালের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকবেন ভারত সেবাশ্রমের কার্তিক মহারাজ। পদ্মাপারে রাজনৈতিক অস্থিরতা যেভাবে সাম্প্রদায়িক রূপ নিয়েছে, সেই আবহে গঙ্গাপারে সাধুদের রাস্তায় নামা যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বাংলাদেশে কোটা আন্দোলন ছিল আসলে মুখোশ। পিছনে থাকা জামাতের মুখ সামনে আসায় বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরগুলিতে লুট, অগ্নিসংযোগ, মূর্তি ভাঙচুরের মতো ঘটনাগুলি কার্যত নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কী বলছেন কার্তিক মহারাজ? (Bangladeshi Hindu)
সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত খোদ প্রধানমন্ত্রীও। বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুভেচ্ছা জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে। তাঁর বার্তায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তার বিষয়টিও অন্তবর্তী সরকারকে সুনিশ্চিত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কার্তিক মহারাজকে ফোনে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি নিয়ে মত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘উচিত কাজই করেছেন প্রদানমন্ত্রী, আমরাও তাঁর কাছে ইমেল মারফত বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরেছি। ’’রাজ্যপালের (Governor of West Bengal) কাছে যাওয়া নিয়ে কার্তিক মহারাজ বলেন, ‘‘আমরা রানি রাসমণি রোড থেকে মিছিল করে রাজভবনের উদ্দেশে যাব শনিবার। বিকাল ৫টা নাগাদ রাজ্যপাল সিভি বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে, তাঁর কাছে দাবি জানাব যাতে ভারত সরকার বাংলাদশের হিন্দুদের সুরক্ষায় সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে, এর পাশাপাশি নির্যাতিত হয়ে কোনও হিন্দু ভারতে এলে তাঁর যেন আশ্রয়ের ব্যবস্থাও করে সরকার, সেই দাবিও জানানো হবে।’’
১৭ অগাস্ট শ্যামবাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ (Bangladeshi Hindu)
তবে এখানেই যে শেষ নয়, তাও জানিয়েছেন কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রমের সন্ন্যাসী (Bangladeshi Hindu) বলেন, ‘‘আগামী ১৭ অগাস্ট বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশও করা হবে সাধু-সন্তদের তরফে।’’ অর্থাৎ বাংলার সাধু-সন্তরা যে চুপ করে বসে থাকবে না প্রতিবেশী রাষ্ট্রে হিন্দু নির্যাতনু হলে তা এমন কর্মসূচিগুলি থেকেই পরিষ্কার। অনেকেই এমন বিক্ষোভ কর্মসূচিকে সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন। কোনও কোনও মহলের মতে, আদতে সাধু-সন্তদের সমাবেশ হলেও ১৭ অগাস্ট বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ১০ অগাস্টের মিছিলে অসংখ্য সাধারণ মানুষকেও ভিড় করতে দেখা যাবে, কারণ বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যে ধরনের হামলা হয়েছে, তা মানবাধিকারকেই লঙ্ঘিত করে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours