Hilsa Fish: রান্নাপুজোয় ইলিশের আকাল! দুর্গাপুজোয় বাংলাকে ৫ হাজার টন ইলিশ উপহার হাসিনার

উত্তাল সমুদ্র, ফিরছেন মৎস্যজীবীরা! রান্নাপুজোয় বাজারে ইলিশের দেখা নেই
hilsha
hilsha

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলে এল রান্না পুজো। শনিবার রান্না পুজোর বাজার করতে গিয়ে পকেটে টান বাঙালির। বাজারে ইলিশ (Hilsa Fish) অমিল। যা গুটি-কয়েক রয়েছে, তাতে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। নিম্নচাপ ও কৌশিকী অমাবস্যার ভরা কোটালের জোড়া ফলায় উত্তাল সমুদ্র। যার জেরে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্র যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞার জারি করা হয়েছে। ফলে রান্না পুজোর আগে বাজারে ইলিশ মিলছে না। তবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয় (Durgapuja) এবার জমিয়ে পেটপুজো করা যাবে ইলিশ (Hilsa) দিয়ে। বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী শুক্রবার জানিয়েছেন সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে ইলিশ রফতানি নিয়ে কথা হয়েছে তাদের। সেই মতো পশ্চিমবঙ্গকে ৫ হাজার টন ইলিশ পাঠাবে বাংলাদেশ। 

রান্না পুজোয় পাতে ইলিশ নেই

ক্যালেন্ডার বলছে বর্ষা পেরিয়ে শরৎ এসে গিয়েছে। তবুও ইলিশের (Hilsa Fish) দাম কমছে না। দিঘা, শঙ্করপুর, কাকদ্বীপ, নামখানা, ডায়মন্ডহারবার থেকে ইলিশের জোগান নেহাতই কম। যেটুকু ইলিশ মিলছে বাজারে, তার দাম আকাশছোঁয়া।ভাদ্রমাসের সংক্রান্তিতে যন্ত্রদেবতা বিশ্বকর্মার আরাধনা করা হয়। আর রান্নাঘরে যাঁরা হাতা-খুন্তি নিয়ে সারা বছর ব্যস্ত থাকেন, বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন তাঁরা মাতেন রান্নাপুজো বা অরন্ধন উৎসবে। এই উৎসবের মধ্যমণি অবশ্যই ইলিশ। তবে এবছর ইলিশের তেমন জোগান নেই। পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি ইলিশের দাম ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। খুচরো বাজারে যার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা। এদিকে, ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের খোকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। 

আরও পড়ুন: ভোকাট্টা! বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশ জুড়ে ঘুড়ির লড়াই কেন?

পুজোর প্লেটে ইলিশ থাকার সম্ভাবনা

বাঙালির এই প্রিয় মাছ নিয়ে রীতিমতো শঙ্কার মেঘ তৈরি হলেও শেষমেশ দরাজ মনে ইলিশ (Hilsa Fish) পাঠাতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ। পুজোর আগেই বাংলা তথা ভারতে ঢুকবে ৫ হাজার টন ইলিশ।  বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, "গত বছর আমরা পাঁচ হাজার টন ইলিশ ভারতে পাঠিয়েছিলাম। এই বছরও সেই পরিমাণ ইলিশই রফতানি করা হবে।" যদিও বাংলাদেশের বাজারে এর জন্য আলাদা করে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই জানান তিনি। তাঁর কথায়, "আমরা ইলিশ নিয়মিত দিই না। কিন্তু, দুর্গাপুজোয় বহু বাঙালি ইলিশ খেতে থাকেন। তাঁদের জন্য আমরা এই উৎসবে ইলিশ পাঠিয়ে থাকি। ঠিক যেমন আমের মরশুমে আম। উৎসবের সময় ১৫ দিনের জন্য তাই ইলিশ রফতানিতে সম্মতি দেওয়া হচ্ছে।" বাংলাদেশ থেকে ইলিশ ঢুকলে দেশের বাজারে ইলিশের চাহিদা অনেকটাই মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles