মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে (Bangladesh Protest)। জারি করা হয়েছে কার্ফু। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে ভারত থেকে বাংলাদেশে যারা পড়াশুনা করতে গিয়েছিলেন, তাঁরা দল বেঁধে দেশে ফিরছেন। একইসঙ্গে বহু বাংলাদেশি নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে নিজের দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা আত্মীয়দের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন। এমনিতেই বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে আশঙ্কা করেই সীমান্তে বিএসএফ কড়া নজরদারি শুরু করেছেন।
গেদে সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরলেন পড়ুয়ারা (Bangladesh Protest)
বাংলাদেশের (Bangladesh Protest) মেডিক্যাল কলেজ পড়ুয়া সাদিকুল। তিনি ভারতীয়। বাংলাদেশে পড়তে গিয়েছিলেন। অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর ক্যাম্পাসের বাইরে বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। খবর জেনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন। কলেজের অন্য ভারতীয় ছাত্রেরা বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। সে দলে নাম লেখান সাদিকুলও। রাতের অন্ধকারে গাড়ি ভাড়া করে চলে আসেন গেদে (Gede)। নদিয়ার মায়াপুরের বাসিন্দা নীলাভ সাইদ বাংলাদেশের মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র। তিনি বলেন, "অনেক স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশে পড়তে গিয়েছিলাম। জানি না, আগামী দিনে সব ঠিকঠাক হবে কিনা। জীবন নিয়ে ফিরলেও কেরিয়ার অনিশ্চিত হয়ে গেল। বাড়ি ফিরতে পারলাম, এটা ভেবেও ভালো লাগছে।"
আরও পড়ুন: ৬ মাস আত্মগোপনের ছক কষেছিলেন সোনারপুরের জামাল! অবশেষে গ্রেফতার
আসছেন বহু বাংলাদেশি
ভারতীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশিরাও আশ্রয় নিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গে। বাংলাদেশের রাজশাহী ঘোষপাড়ার বাসিন্দা চার খুড়তুতো-জ্যেঠতুতো ভাই গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসেন। গেদে (Gede) স্টেশন থেকে তাঁদের নানিকে ফোন করেন। নানির বাড়ি মুর্শিদাবাদের লালগোলায়। তাঁরা সেখানেই উঠবেন। খুব ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন চার ভাই। গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের পর হাঁফ ছেড়েছেন। এঁদের এক জন ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র প্রিন্স মহম্মদ। তিনি বলেন, "মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের ছাত্রেরাও বিক্ষোভে শামিল হচ্ছেন। তাঁরাও এমন অনৈতিক সংরক্ষণ চাইছে না। ঢাকার বাসিন্দা নাইমুর রহমান। পেশায় আইনজীবী। বাংলাদেশের গন্ডগোলের জন্য তিনিও ভারতে চলে এসেছেন। গেদে সীমান্তে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, "বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। আমি ভ্রমণ করতে ভারতে এসেছি।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours