মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি (President) পদে শপথ নিয়েছেন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। প্রত্যাশিতভাবেই উৎসবে মেতেছেন উত্তর ও দক্ষিণের আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলির মানুষ। গঙ্গার এপারে যেমন চলছে উৎসব, তেমনি উৎসব হয়েছে পদ্মার ওপারেও। এদিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সংসদের সামনে ধামসা মাদল নিয়ে নাচে গানে মেতে ওঠেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ।
সোমবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে দ্রৌপদীকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা (NV Ramana)। শপথ নেওয়ার আগে রাজঘাটে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান দ্রৌপদী। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। পরে কোবিন্দের সঙ্গেই সংসদ ভবনে পৌঁছান দ্রৌপদী। তার পরেই নেন শপথ।
আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর
পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএর প্রার্থী ছিলেন বিজেপির দ্রৌপদী। বিজেপি বিরোধী সতেরটি দলের সম্মিলিত প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা। যশবন্তকে বিপুল ভোটে পরাস্ত করে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা হলেন ময়ূরভঞ্জের প্রত্যন্ত এক গ্রামের দ্রৌপদী। দ্রৌপদী রাইসিনা হিলসে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হল আরও একটি ইতিহাস। তিনিই ভারতের প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলা, যিনি হলেন দেশের এক নম্বর নাগরিক।
আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
এদিন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিঞা অ্যাভেনিউতে জড়ো হন আদিবাসী ও জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষ। জয়েনশাহি আদিবাসী ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল, ঢাকা ওয়াংলা সেলিব্রেশন কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি জনজাতি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরাও যোগ দেন এদিনের উৎসবে। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব ড্রং বলেন, জনজাতি সম্প্রদায়ের কোনও মহিলার রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করা ভারতের পক্ষে ভালো খবর। কেবল ভারত নয়, বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের পক্ষেও এটি একটি সুখবর। এটি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষেও গর্বের বিষয়। দ্রৌপদীকে সে দেশে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারকেও অনুরোধ করেন তিনি।
এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মেসবাহ কামাল। তিনি বলেন, দ্রৌপদী মুর্মুর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় নিপীড়িত, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের জন্য এটি একটি আনন্দের দিন। এটি নিঃসন্দেহে সমাজের দুর্বল শ্রেণির মানুষের প্রতি রাষ্ট্রের আইন প্রণেতা ও পরিচালকদের দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টাতে ভূমিকা পালন করবে।
+ There are no comments
Add yours